বিজেপির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনজাতির এক বিশিষ্ট মহিলার মূর্তি ভাঙার ভুয়ো খবর রটানোর কারণে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, গুজব রটানো ও সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠল ত্রিপুরার সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের প্রধান দফতর খুমলুংওয়ং-এ ১৭ ফিট উঁচু মূর্তিটি ভগ্ন অবস্থায় দেখা যায়।
ঘটনার জেরে ফেসবুকে সিপিএম নেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী লেখেন যে, মূর্তিটি ইচ্ছাকৃত ভাঙা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ত্রিপুরাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের গবেষণাগারে রূপান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে বিজেপি-কে তাদের হিন্দু রাষ্ট্র মডেল গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
পরে অবশ্য জীতেন্দ্র চৌধুরী জানান, ‘আমি বলিনি যে এ কাজ বিজেপি করেছে। আমি বলেছি, ত্রিপুরায় সরকার গড়ার পরে বিজেপি তাদের হিংসার সংস্কৃতি চালিয়ে যেতে লেনিন, কার্ল মার্ক্স, এমনকি ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রমের মূর্তিও ভাঙচুর করেছে। গেরুয়া শিবির আমাদের রাজ্যের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করছে।’
এ দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে জীতেন্দ্র চৌধুরীর নামে রাজ্য বিজেপি সম্পাদক মিহির সরকার পশ্চিম আগরতলা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। সেখান থেকে এফআইআর-টি খুমলুংওয়ংয়ের রাধাপুর থানায় পাঠানো হয়েছে। মিহিরবাবুর দাবি, ঝড় ও প্রবল বর্ষণেই মূর্তিটি ভেঙে পড়েছে।
জিরানিয়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার জানিয়েছেন, ‘সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী এবং আরও দুই জনের বিরুদ্ধে আমরা একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১৫২ (এ) ও ৫০৫ (২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি।’
সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে গুজবে কান না দিতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। বলা হয়েছে, নিষেধ অমান্য করলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত
ত্রিপুরা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিম জেরা রাধাপুর থানার অন্তর্গত খুমুংওয়ংয়ে ভেঙে পড়া মূর্তি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আসলে ঝড়-বৃষ্টিতে মূর্তিটি ভেঙে পড়ে। মূর্তি ভেঙে পড়ার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মজুত ছিল। েই বিষয়ে রাধাপুর থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে।’