রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। বছরের পর বছর ধরে এই দিনটার জন্য়ই অপেক্ষা করেছিলেন অনেকেই। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে এই রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ফিরে দেখা যাক সেই ইতিহাসকে।
১৪ জানুয়ারি ১৯৯২ সাল। রামলালা ছিলেন বাবরি মসজিদের ভেতরেই। তৎকালীন বিজেপি প্রধান মুরলী মোহন যোশী কন্যাকুমারী ও কাশ্মীর পর্যন্ত একতা যাত্রার আয়োজন করেছিলেন। সেই দিনটার কথা আজও মনে আছে সেই সময় সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক হিসাবে যাঁরা কভার করেছিলেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেই সময় অযোধ্য়ার ওই এলাকায় রামজন্মভূমি স্টুডিও চালাতেন রাজেন্দ্র ত্রিপাঠি নামে এক ব্যক্তি। প্রশাসনও তাঁকে অনুমোদন দিয়েছিল এলাকায় ছবি তোলার জন্য। সেদিনের কথা মনে আছে আজও তাঁর।
সেই সময় দেখা গিয়েছিল দাড়িওলা এক ব্যক্তি মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একটু বেশিক্ষণই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মনে হচ্ছিল যেন তিনি মূর্তির সামনে কোনও শপথ নিচ্ছেন।সেই সময় ত্রিপাঠি সহ অন্য়ান্য ফটোগ্রাফাররা সেই ছবি তুলেছিলেন। তিনি বেরিয়ে আসার পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, এতক্ষণ কী করছিলেন?
ওই ব্যক্তি সেদিন বলেছিলেন সেদিনই অযোধ্য়ায় ফিরব যেদিন রামমন্দির নির্মাণের সব বাধা দূর হয়ে যাবে। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন আপনার নাম কী? মধ্য় চল্লিশের সেই ব্যক্তি বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট থেকে আসছি।
এরপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে, রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। সেই মধ্য চল্লিশের যুবকের বয়স বেড়েছে অনেকটাই।
২০২০ সালের অগস্ট মাসে তিনি এসেছিলেন অযোধ্য়ায়। রামমন্দিরের ভূমি পুজোর জন্য। এরপর ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি। রামমন্দিরে এলেন তিনি। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল যজমান তো তিনিই।
তিনি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলে দিলেন, রামলালা আর তাঁবুতে থাকবেন না। তাঁর জন্য মন্দির তৈরি হয়েছে। …তিনি বলেন, আজ আমি দৈব আশীর্বাদ অনুভব করছি। তাঁর আশীর্বাদে এই মন্দির তৈরি হল। এই দিব্য় চেতনাকে আমি প্রণাম জানাচ্ছি।
অপর চিত্র সাংবাদিক বিপিন সিং টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, সেই সময় নরেন্দ্র মোদীকে কেউ চিনতেন না।
স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অগণিত ভারতবাসীর। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।