বাংলা নিউজ >
ঘরে বাইরে > Fraud in Union Bank: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকে ‘ভ্যানিশ’ কোটি কোটি টাকা, মাথায় হাত আমানতকারীদের
Fraud in Union Bank: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকে ‘ভ্যানিশ’ কোটি কোটি টাকা, মাথায় হাত আমানতকারীদের Updated: 04 Sep 2022, 04:17 PM IST Abhijit Chowdhury রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার জন্যে টাকা রেখে থাকে। নিজের কষ্টের সঞ্চয় যাতে সুরক্ষিত থাকে, এই কারণেই বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপর ভরসা দেখান আমানতকারীরা। তবে এবার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকেই আমানতকারীদের কোটি কোটি টাকা ‘ভ্যানিশ’ হয়ে গেল। 1/5 জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে। গত শনিবার মদন নেগি নামক এক আমানতকারী জানতে পারেন যে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর সঞ্চিত দুই কোটি টাকার বেশি আত্মসাত হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই গ্রাহকরা ভিড় জমান ব্রাঞ্চে। অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স জানতেই ব্যাঙ্কে ভিড় জমান আম জনতা। এই আবহে ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা শনিবার কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেন। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার সঞ্জয় উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। 2/5 দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোনাল অফিসারদের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। জামা যায়, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে মদন নেগির টাকা আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাঙ্কে ভিড় জমে। এলাকার যে বাসিন্দাদের টাকা সেই ব্রাঞ্চে সঞ্চিত ছিল, তাঁরা নিজেদের স্থায়ী আমানত এবং সঞ্চয়ের অবস্থা জানতে ব্যাঙ্কে পৌঁছন। অ্যাকাউন্টে হাল হকিকত নিজের চোখে দেখে নেন তাঁরা। 3/5 এদিকে মদন নেগি ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের টাকা ‘ভ্যানিশ’ হয়েছে। বিপুল পরিমাণ সঞ্চিত অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে জানতে পেরে হতাশ হয়ে কয়েক ডজন আমানতকারী ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। যদিও ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারা সব টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক। 4/5 ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার সঞ্জয় উপাধ্যায় বলেছেন যে প্রায় ১০ দিন আগে একজন গ্রাহক আঞ্চলিক ভাষায় অভিযোগ করেছিলেন যে আট দিন পরেও তাঁর আরটিজিএস করা হয়নি। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। তাৎক্ষণিক তদন্তের পর চাম্বার শাখা ম্যানেজার জানান ত্রুটির বিষয়। যার ভিত্তিতে ফের তদন্ত শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হিসেবে গরমিল সামনে আসতে থাকে। 5/5 এই ঘটনার পর থেকে ক্যাশিয়ার সোমেশ ডোভাল নিখোঁজ। শাখার ম্যানেজার রাহুল শর্মাকে আঞ্চলিক অফিসে তলব করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে ক্যাশিয়ার সম্ভবত এই টাকা জুয়ায় ব্যয় করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা সামনে এসেছে। আত্মসাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামবাসীরা ব্যাংকে এসে দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছেন। পলাতক ক্যাশিয়ার এবং ম্যানেজারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।