বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > G20 Millet Dish: মিলে গেল জি২০ আর কোচবিহার, সীমান্তের কৃষকরমণী মিলেট রান্না শেখালেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীদের

G20 Millet Dish: মিলে গেল জি২০ আর কোচবিহার, সীমান্তের কৃষকরমণী মিলেট রান্না শেখালেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীদের

জি২০তে মিলেটের ডিশ। (AP Photo/Manish Swarup) (AP)

ভারত সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এই মিলেটের চাষকে। কারণ মিলেট অত্যন্ত পুষ্টিকর। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এই মিলেটের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এই মিলেট চাষকে।

এবার বাজরাকে ফোকাস করা হয়েছে জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে। রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীরা পুসাতে গিয়েছিলেন। কীভাবে মিলেট চাষ হয় তা তাঁরা ঘুরে দেখেছেন। মিলেটের বিভিন্ন পদ কীভাবে তৈরি করা যায় সেটাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। নয়াদিল্লির পুষা কৃষি গবেষণাগারের ক্য়াম্পাসে মিলেটের নানা পদ নিয়ে হাজির ছিলেন কোচবিহারের দিনহাটার চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই কৃষক রমণী রূপময়ী মোদক ও প্রমীলা মোদক। দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের অধীনস্থ স্মল ফার্মার্স এগ্রি বিজনেস কনসোর্টিয়াম এর আমন্ত্রণে তাঁরা দিল্লি গিয়েছিলেন।

দিনহাটার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দিল্লি। জি-২০ এর আসরে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কোচবিহারের বাজরা চাষিরাও। প্রশিক্ষক সৈকত সরকারের প্রচেষ্টায় দিনহাটায় ১০-১২ বিঘা জমিতে মিলেট চাষ হত। সেই দিনহাটা থেকেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন দুই কৃষক রমণী। তাঁরা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে মিলেট চাষের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। কীভাবে মিলেটের পুষ্টিকর পদ রান্না করতে হয় সেটাও তুলে ধরেন তাঁরা।

ভারত সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এই মিলেটের চাষকে। কারণ মিলেট অত্যন্ত পুষ্টিকর। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এই মিলেটের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এই মিলেট চাষকে।

একাধিক বিদেশি অতিথিদের স্ত্রীরা পুসাতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্য়ে ছিলেন ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি অক্ষতা মূর্তি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী কারমেল টেবুট, মরিশাসের ফার্স্ট লেডি কবিতা কামদানি, জাপানের ফার্স্ট লেডি ইউকু কিশিদা, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লায়ারের স্বামী। মূলত বাজরা চাষের নানা দিক তাঁরা ঘুরে দেখেন। মিলেট রান্নার পদ্ধতিও চেনেন তাঁরা। 

ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি অক্ষতা মূর্তি বাসমতি চাল রান্নার পরে কীভাবে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় সেটা দেখে অবাক হয়ে যান। কুনাল কাপুরের মতো শেফরা তাঁদের মিলেট রান্না করে খাওয়ান। জোয়ার মাশরুম খিচুড়ি, বাজরার ঠেকুয়া ছিল তাঁদের জন্য।

আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন একাধিক ফসলের চাষ তাঁরা ঘুরে দেখেন। তাঁরা ন্যাশানাল এগ্রিকালচার সায়েন্স সেন্টারের রঙ্গোলি এলাকায় যান।সেখানে মিলেট রঙ্গোলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাসমতি চালের সুগন্ধি অনুভব করেছেন তাঁরা।

আর এই মিলেটই কার্যত মিলিয়ে দিল বাংলার আর জি২০কে। বলা ভালো কোচবিহারের দিনহাটা আর জি ২০কে মিলিয়ে দিল এই মিলেট।

 

বন্ধ করুন