ভবিষ্যতে জিডিপির কোনও তাত্পর্য থাকবে না। তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব বাড়বে মানুষের আনন্দ। সোমবার লোকসভায় এই পূর্বাভাস করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
সম্প্রতি জিডিপির উল্লেখযোগ্য পতন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আর্থিক বৃদ্ধির হার যে তলানিতে ঠেকেছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পরিসংখ্যান। এ হেন পরিস্থিতিতে এদিন সংসদে নিশিকান্ত বলেন, ‘১৯৩৪ সালে জিডিপির উত্পত্তি, অতীতে তার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। তাই জিডিপি-কে বাইবেল, রামায়ণ বা মহাভারত ভাবার প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সূচক হিসেবে জিডিপির কোনও কাজে লাগবে না।’
এখানেই না থেমে বিজেপি সাংসদ তাঁর ‘নতুন তত্ত্ব’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘স্থিতিশীল উন্নয়ন, আনন্দ জিডিপির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
ঘটনা হল, গত শুক্রবার জুলাই-সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে গত ছয় বছরে নিম্নতম নেমে জিডিপির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৫%, যা ২০১৩ সালের পরে দুর্বলতমও বটে। রিপোর্ট বলছে, এর পিছনে রয়েছে উত্পাদন, কৃষি ও খনিজ ক্ষেত্রে নিম্নগামী বৃদ্ধির হার। পাশাপাশি, গ্রাহকদের চাহিদা, বেসরকারি লগ্নি এবং রফতানি ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পিছিয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জিডিপি বৃদ্ধির ক্রমহ্রাসমান হারের পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে চাহিদা ক্ষেত্রে ভাটা। অটোমোবাইল, মূলধন দ্রব্য, ব্যাঙ্ক, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, এফএমসিজি ও রিয়েল এস্টেট-সহ প্রধান বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলি এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে একই ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭%।