সাম্প্রতিককালে কর্ণাটকে সাম্প্রদায়িকতার বহু ঘটনা উঠে এসেছে। হিজাব বিতর্ক থেকে শুরু করে মন্দিরের বাইরে মুসলিমদের ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা, হালাল মাংসের বিরোধিতা... এই আবহে এবার টিপু সুলতানকেও কি জড়ানো হবে রাজনীতিতে? দীর্ঘদিন ধরে কানাঘুষো চলছিল যে কর্ণাটকের পাঠ্যক্রম থেকে টিপু সুলতানকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বুধবার মুখ খোলেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ। মন্ত্রী বলেছেন যে পাঠ্যপুস্তক থেকে টিপু সুলতানকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে তিনি বলেন, ‘কল্পনার উপর ভিত্তি করে’ অষ্টাদশ শতকের মহীশূর শাসকের যে বর্ণনা পাঠ্যপুস্তকে আছে তা মুছে ফেলা হবে।
নাগেশ বলেন, ‘আমরা শিশুদের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষিত করতে চাই। টিপু সুলতানকে দেওয়া ‘লায়ন অফ মহীশূর’ উপাধির কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে তা বহাল রাখা হবে। তবে তাঁকে গৌরবান্বিত করে যে অংশ বইতে রয়েছে তা মুছে ফেলা হবে।’ লেখক রোহিত চক্রতীর্থের নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি রাজ্যের পাঠ্যপুস্তকগুলিতে পরিবর্তনের সুপারিশ করে। বিশেষ করে টিপু সুলতান সম্পর্কিত তথ্য বদলের সুপারিশ করে সেই কমিটি। এর কয়েকদিন পরে এই বিবৃতিটি দিলেন মন্ত্রী।
নাগেশ বলেন, টিপু সুলতানের অধ্যায়গুলো বাদ দেওয়া হবে না। তিনি যোগ করেন, শুধুমাত্র তথ্যচিত্র এবং ঐতিহাসিক প্রমাণসহ বিষয়বস্তুর উপর নির্ধারিত বিষয়ই পড়ানো হবে শিক্রার্থীদের। উল্লেখ্য, হিন্দু কট্টরপন্থীরা অভিযোগ করে যে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা টিপু সুলতান জোর করে গিন্দুদের ধর্মান্তরিত করতেব এবং হিন্দুদের হত্যা করতেন। এই আবহে টিপু সুলতানের অধ্যায়ে পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। এদিকে এই বিষয়ে কংগ্রেস সরব হয়ে অভিযোগ করেছে যে শিক্ষা ব্যবস্থার গৈরিকীকরণ করতে চাইছে বিজেপি।