প্রথমে করোনাভাইরাস টিকা, তারপর পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে এমনই দাবি তুলেছেন বলে জানালেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
তিনি বলেন, ‘পড়ুয়াদের সুরক্ষার সঙ্গে ছিনিমিনি খেলে পরীক্ষার আয়োজনের বিষয়টি বড় ভুল হতে পারে। প্রথমে টিকা, তারপর পরীক্ষা। দেশজুড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ১.৫ কোটির বেশি পড়ুয়া আছে। ৯৫ শতাংশ বয়স সাড়ে ১৭-এর বেশি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের, যাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া যায়।’
তবে ভারতীয় সংস্থার টিকার পরিবর্তে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিদেশি টিকা প্রদান করারও প্রস্তাব দিয়েছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী সিসোদিয়া। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের টিকাকরণের জন্য ফাইজারের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের। পড়ুয়াদের টিকাকরণ আবশ্যিক। বিশেষত বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ শিশুদের জন্য ভয়ংকর হবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দাপটে পিছিয়ে গিয়েছে একাধিক বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। স্থগিত হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন প্রবেশিকাও। সেই পরীক্ষাগুলি আয়োজনের বিষয়ে রবিবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব এবং রাজ্যের বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’। কেন্দ্রের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, যেহেতু বিভিন্ন রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের উপর দেশের বিভিন্ন প্রবেশিকা উপর প্রভাব ফেলে, তাই রাজ্যগুলির মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের আধিকারিক এবং শিক্ষামন্ত্রীদের মতামত বিবেচনা করা হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।