গাজায় এখনও জারি ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ। মাঝে সাময়িক ভাবে যুদ্ধবিরতি চললেও আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে দুই পক্ষের। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব পেশ করা হল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভয়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য সওয়াল করল ভারতও। গতকাল সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইরাক আলজিরিয়া, বাহরিন যৌথ ভাবে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছিল। ভারত সেই প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেয়। তবে আমেরিকা সহ ১০টি দেশ এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ২৩টি দেশ। পক্ষে ভোট পড়ে ১৫৩টি। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ না থাকায় এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল আমেরিকা। এই আবহে প্রস্তাবনায় সংশোধনী আনার দাবি জানায় আমেরিকা। ভারত সেই সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষেও ভোট দেয়। (আরও পড়ুন: 'GST-র এক টাকাও বকি নেই, ৪ বছরে AG-র কোনও রিপোর্ট দেয়নি বাংলা', বললেন নির্মলা)
উল্লেখ্য, প্রায় দু'মাস আগে আচমকাই ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শ'য়ে শ'য়ে ইজরায়েলিকে খুন করে হামাস জঙ্গিরা। শতাধিক সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। জবাবে গাজায় গোলাবর্ষণ শুরু করে ইজরায়েল। পরে গাজায় প্রবেশ করে ইজরায়েলি সেনা। সেই সংঘর্ষ এখনও জারি রয়েছে। এরই মাঝে বন্দি মুক্তির কাজ চলছে। বেশ কয়েক দফায় অনেক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইজরায়েলও অনেক প্যালেস্তিনীয়কে ছেড়ে দিয়েছে এর বদলে। তবে যুদ্ধ থামেনি। রক্ত ঝরে চলেছে গাজার মাটিতে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের বেড়া কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে তাতে। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে আইসক্রিম ট্রাকগুলি চলমান মর্গে পরিণত হয়। গাজায় ২৩ লাখের বাস। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল।