প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে চায় ইন্ডিয়া জোট। কে সেই হেভিওয়েট প্রার্থী? সূ্ত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন প্রার্থী হোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও জল যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট ইন্ডিয়া জোট চাইছে বারাণসীতে টক্কর হোক সমানে সমানে।
২০১৪ সালে বারাণসী থেকে বিপুল ব্যবধানের জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, আপ-এর জাতীয় কনভেনর অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদীর কাছে ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোটে হারেন কেজরিওয়াল। সেই আপ বর্তমানে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী। সূত্রের খবর, আপ প্রধান কেজরিওয়ালও চাইছেন হেভিওয়েট কাউকে এবার ভোটে দাঁড় করানো হোক।
২০১৯-এ জল্পনা ছড়িয়ে ছিল বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় কংগ্রেস নেতা অজয় রাইকে মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়। তিনিও বিপুল ভোটে হারেন।
এবার অবশ্য পরিস্থিতিটা কিছুটা আলাদা। বিজেপি বিরোধীরা তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট। তাই লড়াইটা এবার কিছুটা সঙ্ঘবদ্ধ হলেও হতে পারে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা সেদিক তাকিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয়াঙ্কার গান্ধী ভঢরার নাম প্রস্তাব করেছেন।
প্রিয়াঙ্কার প্রতিক্রিয়া
২০২৪-এর ভোটে যে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী রবার্ট ভঢরা। তবে জল্পনা রয়েছে কোন আসন থেকে লড়বেন তিনি। একাংশ মনে করছেন, সোনিয়া গান্ধী তাঁকে রায়বেরিলির আসন ছেড়ে দিতে পারেন। আবার একাংশের মতে প্রিয়াঙ্কা উত্তর প্রদেশের ফুলপুর আসন থেকেও লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন। তবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা তাঁর নাম প্রস্তাব করে দেওয়ায় কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। তবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে একটি বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী সর্বসম্মত ভাবে হেভিওয়েট প্রার্থীকে দাঁড় করানো হবে। এ নিয়ে প্রিয়াঙ্কা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'মিটিংয়ে কী কথা হয়েছে সবটা আমরা বলতে পারব না।'
শক্ত লড়াই
বারাণসীতে থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনা বেশ শক্ত কাজ। তথ্য বলছে গত তিনদশকে ১৯৯১ সাল ছাড়া ধারাবাহিক ভাবে বারাণসী আসন জিতে এসেছে গেরুয়া শিবির। তবু বিরোধী জোট মনে করছে, একজোট হয়ে লড়াই করলে সাফল্য মিলতে পারে। প্রসঙ্গত, এ মাসের গোড়ার দিকে বারাণসীতে একটি মিছিল করার ঘোষণা করেছিলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু প্রশাসন সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তবে জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আসন সমঝোতা হয়ে গেলেই জোটের মিছিল ও সভা শুরু হবে।