ভারতের গগনযান প্রকল্প। ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ড্রোগ প্যারাসুট ডিপ্লয়মেন্ট টেস্ট সফল। এটা ভারতের গগনযান প্রকল্পের অন্যতম অঙ্গ। ৮ অগস্ট থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত চন্ডীগড়ে এই সফল পরীক্ষা হয়েছে।
এই গগনযান প্রজেক্টটা আসলে কী?
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন এই গগনযান প্রকল্পটা পরিচালিত করেছিল। এই প্রকল্পের মাধ্য়মে দেখা হবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কতটা সমর্থ ভারতের মহাকাশ সংস্থা। সেই নিরিখে ৪০০ কিমি কক্ষপথে তিনজন ক্রু মেম্বারকে তিনদিনের মিশনে পাঠানো হবে। এরপর তাদের অত্যন্ত নিরাপদে নামিয়ে আনা হবে। ভারতের সমুদ্রে তাদের নামিয়ে আনা হবে। সেই লক্ষ্য়ে এগোচ্ছে ইসরো। আর সেই নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এই বিশেষ প্যারাসুট। মহাকাশযানকে সুরক্ষিত রাখবে এই প্যারাসুট। ২০২৩ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৪ সালের এই পরীক্ষা করার ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে।
এই ড্রোগ প্যারাসুটটা ঠিক কী?
মহাকাশযান থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় অত্যন্ত কার্যকরী হবে এই প্যারাসুট। নির্দিষ্ট কমান্ড পেলে এই প্যারাসুট উড়ে যাবে মহাকাশে। রিবনের মতো এই প্যারাসুট। প্রায় ৫.৮ মিটার পরিধি জুড়ে এই প্যারাসুট।
তবে এই পরীক্ষার মাধ্য়মে ইসরো ঠিক কী দেখতে চাইল?
পরপর তিনটি পরীক্ষা করেছে ইসরো। এই প্যারাসুটগুলি কতটা কাজ করতে পারছে সেটা দেখা হয়েছে। এই প্যারাসুট কতটা ভারবহন করতে পারছে সেটাও দেখা হয়েছে। আগামী মিশনের জন্য এই প্যারাসুটের যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে কি না সেটা তৃতীয় পরীক্ষার মাধ্য়মে দেখা হয়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, আসন্ন টেস্ট ভেহিকেল-ডি১ মিশনের অন্যতম অঙ্গ হল এই বিশেষ পরীক্ষা। সব মিলিয়ে ১০টি প্যারাসুট এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। মডিউলটি যাতে ঠিকঠাক থাকে সেকারণে ধাপে ধাপে একটি করে প্য়ারাসুট বিচ্ছিন্ন হবে।