বিধানসভায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় স্লোগান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তা নিয়ে মামলাও হয়েছিল। তবে এবার সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ থেকে ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরৎ পাঠানো হল। এদিকে এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চ পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠাল। এর জেরে ভোটপর্বের মুখে স্বস্তি ফিরল বাংলার গেরুয়া শিবিরে।
কার্যত এক্ষেত্রে রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সংগীত সংক্রান্ত মামলাতেও ধাক্কা খেল ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা ফের এল সিঙ্গল বে়ঞ্চেই। এদিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশ জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। কলকাতা হাইকোর্টেও এনিয়ে মামলা হয়। সিঙ্গল বেঞ্চ সেই মামলায় পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে তারপর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেল সরকার।
আগের ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
গত ২৯ নভেম্বরের ঘটনা। বিধানসভায় সেদিন একটি ধরনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেদিন তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে তাঁর দলের বিধায়করা আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে বসেন। তার থেকে ৫০ মিটারের দূরেই বিজেপির বিধায়করা ছিলেন। তাঁরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখান। তুলেছিলেন রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান। তখনই তৃণমূল বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন। অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান শোনা যায়।
এদিকে এর আগে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার দুটি মামলায় স্বস্তি পেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ ছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। আপাতত সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ ছাড়া চার্জশিট পেশ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এর আগে এই সংক্রান্ত দ্বিতীয় মামলা নিয়েও কোর্ট বলেছিল, যেহেতু সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি হয় ও সেই মামলায় শুনানি এখনও হয়নি, তাই দ্বিতীয় মামলায় কোনও তদন্তে এগোতে পারবেনা পুলিশ। এছাড়াও বিজেপি বিধায়কদের জেরা করা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট, তাও বহাল রাখা হয়েছে। ফলে স্বভাবতই এই মামলায় স্বস্তি ফিরেছে গেরুয়া শিবিরে। আদালত জানিয়েছে, তদন্ত চললেও, বিধায়কদের ডাকা যাবে না বা পদক্ষেপ করা যাবে না।