ইন্ডিগো বিমান সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠল। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু সমেত এক পরিবারকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ন্ডিগো বিমানের কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটে রাঁচির বিমানবন্দরে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মন্ত্রী জানান, ঘটনার তদন্ত তিনি নিজে করবেন।
একটি টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লেখেন, ‘এই ধরনের আচরণের কোনও ভাবেই সহ্য করা হবে না। কোনও মানুষকেই এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে না! আমি নিজে বিষয়টির তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে যে তারা এই ঘটনাটির তদন্ত করছে। ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন যে তারা ইন্ডিগোর কাছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ভাবে সাফাই দিয়ে ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়, তাঁরা কোনও ভাবেই কারোর ক্ষেত্রেই পক্ষপাততুষ্ট আচরণ সমর্থন করেন না। তবে শিশুটিকে সেভাবে আচরণ করতে দেখে অনেক যাত্রীই ভ্রমণের সময় নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে পারতেন। তাই তাদের বিমানে চড়তে নেওয়া হয়নি। বিমানের এক যাত্রী পুরো ঘটনাটি একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। পরে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুকে পোস্ট করা যাত্রী দাবি করেন, অন্য যাত্রীরা শিশু এবং তার মা-বাবাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাও নাকি সেই শিশু আর তার মা-বাবাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। এদিকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই নিয়ে ঝামেলা চলে। এরপর অবশ্য ইন্ডিগো সেই তিনজনকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় এবং সকালে পরবর্তী উড়ানে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ক্রমে বেড়ে চলেছে। নেটমাধ্যমে ইন্ডিগোর মুণ্ডপাত হচ্ছে এই নিয়ে।