করোনাভাইরাসের মারণ কামড়ের মধ্যে দেশে কি ট্রেনে পরিষেবা কমানো হবে? সপ্তাহখানেক ধরেই সেই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হল, আপাতত করোনার সংক্রমণের কারণে ট্রেনের সংখ্যা কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।
রেল সূত্রে খবর, একাধিক রাজ্যে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমূখী হলেও কোনও রাজ্য সরকারকের তরফেই এখনও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ বা ট্রেনের সংখ্যা কমানোর আর্জি জানানো হয়নি। বরং যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখানে পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক যাবতীয় করোনা সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে। দূরপাল্লার ট্রেনে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
শনিবারই রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কেউ ট্রেনে বা স্টেশন চত্বরে মাস্ক না পরেন, তাহলে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন ও স্টেশন চত্বরের মতো জনবহুল জায়গায় এবার করোনা বিধি সঠিকভাবে যাতে পালন করা হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। মাস্ক না পরলে জরিমানা তো হবেই, সেইসঙ্গে যেখানে-সেখানে থুতু ফেলার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ছ'মাস পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে রেল সূত্রে খবর।
দিনকয়েক আগেই ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, করোনা-পূর্ববর্তী সময়কার প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেল। গত এক সপ্তাহে ৬৯টি অতিরিক্ত গ্রীষ্ম স্পেশাল ট্রেনের পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। মূলত যেই স্টেশনগুলি থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, ভিনরাজ্যের কর্মীরা বেশি যাতায়াত করেন, সেই রুটেই বাড়ানো হচ্ছে ট্রেন। ৮৮ টি গ্রীষ্ম স্পেশাল ট্রেন ও ৪৫ টি উৎসব স্পেশাল ট্রেন-সহ মোট ১৩৩ টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
তাঁর কথায়, 'ঠিক যে রুটে চাহিদা বেশি, সেখানেই ট্রেন বৃদ্ধির জন্য আমরা বিভিন্ন জোনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছি। এমনিতেই এই গ্রীষ্মের সময়ে একটু ভিড় বৃদ্ধি পায়। এছাড়া অতিরিক্ত চাহিদা তো রয়েছে। সেই কারণেই এই গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল ট্রেনগুলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।