গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিশু খুনের ঘটনায় আগেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। এরপর এই ঘটনার মামলা ঘিরেও পরতে পরতে একাধিক তথ্য উঠে আসে। জানা গিয়েছে, শিশু খুনে অভিযুক্ত নাবালককে এবার প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে ধরে নিয়ে তার মামলা করা হবে। আইনত এই মামলা খুব একটা সহজ প্রক্রিয়ায় হয় না। তবে এক্ষেত্রে তা ঘটছে।
মূলত, কোনও নাবালককে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে ধরে নিয়ে তার বিচার করা হয়, তাহলে বহু আইনি প্রক্রিয়া, মেডিক্যাল টেস্টের হাত ধরে তা করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী সিবিআই ৪ অক্টোবরই জেজেবি বা জুভেনায়েল জাস্টিস বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল যে এই মামলাকে যাতে প্রাপ্ত বয়স্কের মামলা হিসাবে ধরা হয়। সেই আর্জির সাপেক্ষে কোর্টকে ফের একবার ভেবে দেখবার কথা বলে সিবিআই। সিবিআইয়ের তোলে এই আর্জি যে ভিত্তিতে কোর্ট খণ্ড করতে পারেনি, তা হল রোহতকের 'পিজিআইএমএস' মেডিক্যাল সায়ান্সেসের একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘এমন কোনও নির্ভরযোগ্য টেস্ট নেই যেখানে মেডিক্যাল ক্ষমতার মাধ্যমে কারোর পরিণত মনস্কতা বা ক্ষমতা জানা যায়।’ এদিকে, জেজেবির সদস্যরা ১ অক্টোবর নিজেরা ওই ৭ বছর বয়স্ককে পরীক্ষা করে দেখেন। জানতে চান যে ওই নাবালকের মানসিক পরিস্থিতি কেমন। আর তারপরই আদালত এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোয়।
খেজুরের উপকারিতা তো জানেন! এটি কাদের খাওয়া একদমই ঠিক নয় জানেন?
এর আগে ১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের আওতায় থাকা নাবালক অভিযুক্তদের নিয়ে। সেখানে বারবার উঠে আসে, নাবালককে ফের একবার পরীক্ষা করার বিষয়টি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এক ঘটনা ঘিরে তোলপাড় চলে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। সেখানে ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের বাথরুমে এক ক্লাস ২ এর পড়ুয়াকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় স্কুলেরই এক ছাত্র অভিযুক্ত ছিল। সেই সময় অভিযুক্তের বয়স ছিল ১২। বর্তমানে তার বয়স ২১। আর ঘটনার সময় তার বয়স ঘিরেই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার কথা।