ন্য়ায় বিচার পেয়েছেন দিল্লির নির্ভয়ার মা। তবে তার আগে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছেন তিনি। এবার কামদুনির প্রতিবাদীরা দিল্লিতে গিয়ে দেখা করলেন নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গে। টুম্পা কয়াল, মৌসুমি কয়াল ও শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্য়ায় সহ ৯জনের প্রতিনিধিদল গিয়েছেন দিল্লিতে। কামদুনির ধর্ষণ মামলায় সমস্ত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবিতে তাঁরা যন্তরমন্তরের সামনে তাঁরা ধরনাতেও বসেন। এরপর নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গেও দেখা হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার কামদুনির ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন মৌসুমী। তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, যেভাবে নির্ভয়ার মা আমাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন তাতে আমরা খুশি।
এদিকে নির্ভয়ার মা কামদুনির প্রতিবাদী নারী মৌসুমিকে জিজ্ঞাসা করেন, ভয় পাচ্ছ? তখন মৌসুমী জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষ। আমরা অত কিছু বুঝি না। তবে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন নির্ভয়ার মা।
আসলে একদিন এভাবেই নির্ভয়াকে চলে যেতে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার পেয়েছে নির্ভয়ার পরিবার। আর ন্যায় বিচারের দাবিতে এখন দিল্লির দরজায় দরজায় ঘুরছে কামদুনির প্রতিবাদীরা। হারতে নারাজ তাঁরাও। নির্ভয়ার মার লড়াই অনুপ্রেরণা দিয়েছে তাদের। এই লড়াইতে জিততে হবেই। হারতে নারাজ কামদুনি। সুবিচারের দাবিতে কামদুনির এই লড়াই।
অন্যদিকে নির্ভয়ার মা প্রয়োজনে কামদুনিতে আসবেন বলেও জানিয়েছেন। এমনকী কলকাতায় কোনও প্রতিবাদী সভা হলে সেখানে তিনি থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে কামদুনির ওই অসহায় পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় তার জন্য় লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্ভয়ার মা। তবে নির্ভয়ার মার ওই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই কার্যত নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছে কামদুনিকে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন কামদুনির প্রতিবাদী প্রতিনিধিরা। কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সন্ধ্য়ায় তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান দিল্লির যন্তরমন্তরে। টুম্পা কয়াল পরে সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ওরা গ্রামে টিম পাঠাবেন। আমাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। তবে পুজোর পরে এটা হবে।