পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাতিকে জম্মু ও কাশ্মীরের একটি সরকারি কনভেনশন সেন্টারের চাকরি থেকে বের করা হয়েছে। সেই সেন্টারের গবেষণা কর্তা পদে ছিলেন গিলানির নাতি আনিস-উল-ইসলাম। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদী যোগ থাকায় আনিসকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত মাসেই ৯২ বছর বয়সে মারা যান গিলানি। তাঁর মৃত্যুর পর জানা যায় যে নিজের নাতির চাকরির জন্য সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিলেন গিলানি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আনিস-উল-ইসলামকে বরখাস্ত করা হয় বলে সূত্রের খবর।
২০১৬ সালে যখন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আনিস-উল-ইসলামকে জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন বিভাগের অধীনে শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বা এসকেআইসিসিতে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সরকারি চাকরি পাওয়ার মাত্র কয়েক মাস আগেই অবশ্য আনিস-উল-ইসলাম পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আনিসের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। সন্দেহ করা হয় যে সরকারী অর্থায়নে এবং নিয়ন্ত্রিত শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি গেজেটেড গ্রেড সমতুল্য পদে আনিসের সরাসরি নিয়োগটি আদতে একটি রাজনৈতিক চুক্তি ছিল। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে সেই সময় যে সহিংসতা চলছিল, তা হ্রাস করার জন্য গিলানির সঙ্গে চুক্তি হিসেবে এই চাকরিটি দেন মেহবুবা।
২০০৫ সাল থেকে এই পদটি শূন্য ছিল। সূত্রের খবর, এই শূন্যপদ পূরণের কোনও তাগিদ সরকারের এর আগে ছিল না। তবে আনিস পাকিস্তান থেকে ফিরতেই এই কনভেনশন সেন্টারের পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। মনে করা হচ্ছে, উপর থেকে চাপের কারণে কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই আনিসকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।