বিহারের জয়প্রকাশ নারায়ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর ভারত বিরোধী পোস্ট করেছেন সোস্য়াল মিডিয়ায়। অভিযোগ এমনটাই। তিনি ছাপড়ার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন। এদিকে তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নারায়ণ কলেজের ওই সহকারি প্রফেসরের নাম খুরশিদ আলম। তিনি পাকিস্তানের সমর্থন করে এই পোস্ট করেছেন। মুসলিমদের জন্য পৃথক দেশের দাবি করে তিনি এই পোস্ট করেছেন। তারপরই এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ইতিমধ্য়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ রঞ্জিত সিং জানিয়েছেন, তিনি এনিয়ে ওই অধ্য়াপককে শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি যদি ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারেন তবে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু ওই অধ্য়াপক ঠিক কী লিখেছিলেন তাঁর ফেসবুকের পাতায়?
তিনি লিখেছিলেন, আমি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি ভারতীয় মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশ করা হোক। সেটা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সহযোগী হতে পারে। এদিকে এই পোস্ট সামনে আসার পরেই বিরাট শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে পোস্টটি দেখার পরেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।
তবে এবারই খুরশিদ আলম এই ধরনের পোস্ট করলেন এমনটা নয়। এর আগেও তিনি এই ধরনের বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন। এর আগে তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছিলেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি ভারতবিরোধী নানা কথা লিখেছিলেন।
এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ইউনাইটেড পাকিস্তান বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
ছত্তিশগড়ে এক যুবক পাকিস্তানি পতাকা তুলে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদেও তিনি নানা কথা বলা শুরু করেছিল। সেই সব কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে সেই সময় বিতর্ক ছড়িয়েছিল। তবে তারপরেও তিনি সতর্ক হননি। এদিকে ঘটনার পরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব। তাদের দাবি, ওই প্রফেসর একাধিকবার নানা ধরনের দেশবিরোধী পোস্ট করেন। একবার নয়, তিনি বার বার এই ধরনের পোস্ট করেছেন।
এদিকে ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও শোকজের নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়ে দেন প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা অপরাধ।
এদিকে খুরশিদ আলমের বক্তব্য আসার পরেই এনিয়ে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।