শুধু লাগেজ নয় এবার থেকে বিমানে ওঠার সময় যাত্রীদের ওজন পরিমাপ করতে চলছে কোরিয়ান এয়ারলাইন্স। যাত্রীরা বিমানে কতটা লাগেজ নিয়ে যেতে পারবে সেটা নির্ভর করে যাত্রীর উপর, কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ওজনের লাগেজ হলে যাত্রীকে তার জন্য দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এই কারণেই অনেক যাত্রী লাগেজের ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনে তুলনায় বেশি পোশাক পরিধান করেন, কারণ সেক্ষেত্রে যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না। এই প্রবণতা কমানোর জন্যই কি এই বিশেষ নিয়ম চালু করতে চলেছে কোরিয়ান এয়ারলাইন্স?
দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম এয়ারলাইন হল কোরিয়ান এয়ার। কোরিয়ান এয়ার ঘোষণা করেছে যে, এবার থেকে ফ্লাইটে উঠার আগে ওজন মাপ হবে যাত্রীদেরও। যদিও কোরিয়ান এয়ারলায়েন্স জানিয়েছে যে, এর মধ্যে তারা যাত্রীদের শারীরিক গঠন এবং আকৃতি নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করা তাদের উদ্দেশ্যে নয়। কিন্তু কেন কোরিয়ান এয়ারলায়েন্স এই পদক্ষেপ নিচ্ছে? তার উত্তরে কোরিয়ান এয়ারলায়েন্স জানায় যে, যাত্রীদের গড় ওজন এবং তাদের বহন করা লাগেজ ফ্লাইটের নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতার উপর কী প্রভাব ফেলে সেটি অধ্যয়ন করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
গৃহীত এই তথ্য থেকে কোরিয়ান এয়ারলাইন্স বুঝতে চাইছে যে, কীভাবে একটি বিমানের সামগ্রিক ওজন জ্বালানির খরচকে প্রভাবিত করে। এই তথ্য পরবর্তী সময় বিমান সংস্থাগুলিকে বিমানের পরিকাঠামো সঠিক করতে ও দক্ষ কৌশল সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
কোরিয়ান এয়ার জানিয়েছে যে, যাত্রী এবং যাত্রীদের লাগেজগুলির ওজন করা হবে এবং তারপরে সেই তথ্য পরিবহন মন্ত্রকের কাছে পাঠাবেন। যদিও যাত্রীরা তাদের ওজনের তথ্য সংগ্রহ করতে দিতে ইচ্ছুক নন। একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, এই উদ্যোগটি ২৮ অগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জিম্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং তারপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইঞ্চিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হবে।
কোরিয়ান এয়ারলাইন্স একটি সাংবাদিক বিবৃতে জানান যে, যাত্রীদের কাছে এটি খুব অস্বস্তিকর বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা কথা দিচ্ছি যে, যাত্রীদের এই ওজনের তথ্য অন্য কোন যাত্রী যেমন জানতে পারবে না, ঠিক সেরকমই যারা এই দায়িত্বে থাকবে তারাও এই তথ্য জানতে পারবে না।