আমেদাবাদ থেকে মুম্বই। ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে এই রুটেই। আর সেই রুটে বুলেট ট্রেনের পরিকাঠামো তৈরির জন্য় গোটা রুটেই ১০০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে বলে খবর। প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন ধরে এই জমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে কাজ চলেছে। অবশেষে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করল সরকার।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোমবার জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১৩৮৯.৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দাদরা, নগর হাভেলি এলাকায় এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের অগস্ট মাসে বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে।
এদিকে মূলত ওই রুটে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়েই অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তার জেরেই বুলেট ট্রেনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। দুটি কারণে এই দেরি হয়েছে। প্রথমত মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা ছিল। আবার কোভিডের কারণেও অনেকদিন কাজ বন্ধ ছিল। তার জেরেও প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, উদ্ধবঠাকরের নেতৃত্বে যখন সরকার চলছিল তখন জমি অধিগ্রহণের কাজটা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একনাথ শিন্ডে ক্ষমতায় আসার পরে এই জমি অধিগ্রহণের কাজে ক্রমেই গতি আসতে শুরু করে। প্রকল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ও মেলে।
এদিকে পাহাড়ের মধ্য়ে টানেল তৈরির কাজ গত ১০ মাসে তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই সুরাটে এনএইচ ৫৩ ৭০ মিটার দীর্ঘ প্রথম স্টিল ব্রিজ তৈরির কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে NHSRCL সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্রের নীচেও টানেল তৈরি করা হবে। দেশের মধ্য়ে প্রথম ৭ কিমি দীর্ঘ সমুদ্রের নীচে টানেল তৈরি হবে এখানেই। বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থেকে মহারাষ্ট্রের শীলপাতা পর্যন্ত এই সুরঙ্গ তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গেই মুম্বই স্টেশন তৈরির কাজও চলছে।
সব মিলিয়ে ভারতে বুলেট ট্রেন চালানো নিয়ে এবার নয়া দিশা। ২০২৬ সালের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।