কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতি তোলপাড় করে এনসিপির শরদ পাওয়ার শিবির ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি নিয়েছেন শপথ। এরপর শুক্রবার সদ্য হয়েছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ঘোষণা। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গিয়েছে, আরও এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের কাছ থেকে চলে গিয়েছে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট দফতর। আর এই নিয়ে কটাক্ষ উড়ে এসেছে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের তরফে।
কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক টুইটে লেখেন, হাউজিং ডেভেলপমেন্ট দফতরে থেকে ফড়নবীশ শেষ যে কাজটা করেছেন, তা হল আদানিগোষ্ঠীকে ধারাভি রিডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জন্য সরকারের সঙ্গে একজোটে কাজ করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া। রমেশ তাঁর টুইটে লেখেন,'রাজ্য সরকারগুলিকে এটিএম মেশিনে রূপান্তরিত করেছে মোদী সরকার।' রমেশ লিখছেন, ‘যখন আসল টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যায় সংঘাতের জেরে, তখন শিন্ডে-ফড়নবীশ সরকার আশ্চর্যজনক অ্যাক্রোব্যাটিকস পরিবেশন করেছিলেন, যাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুই একমাত্র সম্ভাব্য বিজয়ী হন।।’ একধাপ এগিয়ে জয়রাম রমেশ বলেন,'দেখুন শিল্পপতিদের নব যুগের দাসদের।'
( 'বিভেদ তৈরি করছেন'! ‘মিঞা মুসলিমদের’ সবজি বিক্রি করতে না দেওয়া নিয়ে হিমন্তকে পাল্টা দিলেন বদরুদ্দিন)
এদিকে, সদ্য মহারাষ্ট্রে হয়েছে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। সেখানে কোন হেভিওয়েট নেতারা কোন কোন দফতর পেলেন, দেখা যাক।
এনসিপি নেতারা কে কী পেলেন?
১) ছগন ভুজবল- খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ দফতর
২)অজিত পাওয়ার- অর্থ ও পরিকল্পনা দফতর।
৩) অদিতি তাতকারে- মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতর
৪) দিলীপ ওয়াসলে পাচিল- কো অপারেটিভ
৫) অনিল পাটিল- ত্রাণ ও পুনর্বাসন
৬) সঞ্জয় ভানসোড়ে- ক্রীড়ামন্ত্রক
৭) ধামারাও আত্মারাম- খাদ্য ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
বিজেপি নেতারা কে কোন দফতর হারালেন?
১) দেবেন্দ্র ফড়নবীশ- অর্থ ও পরিকল্পনা
২) গিরিশ মহাজান- যুব কল্যাণ ও মেডিক্যাল এডুকেশন
৩) মঙ্গল লোধা- নারী ও শিশু কল্যাণ
বিজেপি নেতারা কে কোন দফতর পেলেন?
১) গিরিশ মহাজন- পর্যটন
২) অতুল সাভে- হাউজিং ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়ন।