ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৯ সালে। ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন তুঙ্গনাথ চতুর্বেদী। উত্তরপ্রদেশের এক নামী আইনজীবী হিসাবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। সেই বছর এক সফরে রেলওয়ে তুঙ্গনাথ চতুর্বেদীর থেকে টিকিটের ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিয়েছিল। ছেড়ে কথা বলেননি এই আইনজীবী। মামলা কোর্টে নিয়ে যান। আর ১৯৯৯ সালে দেওয়া বাড়তি ২০ টাকা তিনি ফিরে পেলেন ২০২২ সালে। জিতে গেলেন মামলা।
তুঙ্গনাথ চতুর্বেদী বলছেন, '১৯৯৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর আমি মোরাদাবাদের দুটি টিকিট কাটি। যার দাম ছিল ৭০ টাকা। তবে ক্লার্ক ৯০ টাকা নিয়েছিলেন। আমি প্রশ্ন তুলি। দেখা করি স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে। কিন্তু কেউ সাহায্য করেননি। আমি আইনের রাস্তা নিই।' মোরাদাবাদের ওই টিকিটের এক একটির দাম তখন ছিল ৩৫ টাকা। ফরে দুটি টিকিটের দাম ৭০ টাকা হয়। চতুর্বেদী বলছেন তিনি ক্লার্ককে ১০০ টাকা দেন। আর তার বদলে ক্লার্ক ফিরিয়ে দেন ১০ টাকা। কিন্তু দেওয়ার কথা ৩০ টাকা। এরপর ২২ বছর ধরে চলে তুঙ্গনাথ চতুর্বেদীর মামলা। তিনি নিজের মামলায় ক্ষতি পূরণ হিসাবে রেলের থেকে দাবি করেন ১৫০০০ টাকা। আর আদালত সেই দাবি মেনে, তুঙ্গনাথ চতুর্বেদীকে সেই টাকা দিতে বলেন। একটিই এন্ট্রান্স হবে! নিট ও জেইই এবার সিইউইটি পরীক্ষার মধ্যে অন্তর্ভূক্তির ভাবনা
এখানেই শেষ নয়। ক্ষতিপূরণের টাকা তুঙ্গনাথ চতুর্বেদীকে ১ মাসের মধ্যে দিতে বলে রেলকে নির্দেশ দেয় আদালত। আর তা না হলে, মোট টাকার অঙ্কের ১৫ শতাংশ বাড়তি দিতে বলা হয় রেলকে। তুঙ্গনাথ বলছেন, এই আইনি লড়াই থেকে তাঁর পরিবার তাঁকে সরে আসতে বলে। বন্ধুরাও তাঁকে সরে আসতে বলেন। তবে রাস্তা ছাড়েননি তিনি। কোনও মতেই নিদের জায়গা থেকে সরে আসতে চাননি তুঙ্গনাথ। তাঁর মতে, তাঁর ভিতর থেকে বিশ্বাস ছিল যে তিনি এই আইনি লড়াই জিতে যাবেন। আর সেটাই তিনি করে দেখালেন। একটি মাত্র এই মামলায় কার্যত ১০০ টি শুনানি এযাবৎকালে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তুঙ্গনাথ। তবে হার মানেননি তিনি। শেষে ধৈর্য ও লড়াইয়ের উদ্যম সঙ্গে নিয়ে জিতে গিয়েছেন এই মামলা।