মাঝেমধ্য়েই অশান্ত হয় মণিপুর। তার মধ্যেই মণিপুরের মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং সোমবার ঘোষণা করেছেন, ১৯৬১ সালের পরে যারা মণিপুরে এসেছেন, এখানে থাকছেন, তারা যে সম্প্রদায়ের, যে জাতির হোন না কেন তাদেকে ওই রাজ্য থেকে চলে যেতে হবে।
সম্ভবত এটা মনে করা হচ্ছে যে মণিপুরের জনজাতির আবেগকে রক্ষা করার জন্য তিনি এই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মাদক মাফিয়া ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যারা মূলত মায়ানমার থেকে এসেছেন তারাই গত কয়েকমাসের এই অশান্তির জন্য দায়ী।
তিনি বেশ জোরের সঙ্গে বলেছেন, ১৯৬১ সালকে একটা চূড়ান্ত বছর হিসাবে ধরা হচ্ছে। মণিপুরের ইনার লাইন পারমিট সিস্টেমকে কার্যকরী করার জন্য এই বছরকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিকে এর আগে বীরেন সিং ২০২২ সালে বলেছিলেন এটা হল অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এদিরে রাজ্য মন্ত্রিসভা ১৯৬১ সালটিকে নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে মতামত দিয়েছিল। তবে এবার একাধিক সিভিল সোসাইটি গ্রুপ ও রাজনৈতিক দল ১৯৫১ সালটিকে নির্দিষ্ট বছর হিসাবে ঘোষণা করার ব্যাপারে জানিয়েছিলেন।
বর্তমানে মণিপুরের সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকলেই জানেন যে আমরা কঠিন সময়টা পেরিয়ে এসেছি। আমাদের বাঁচতে হবে। আজ যেটা হচ্ছে সেটা হল অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই, বাঁচার জন্য লড়াই, নিজেদের পরিচিতি রক্ষার জন্য লড়াই।
এদিকে জানুয়ারির শেষ দিকে মণিপুরের অন্তত ১০টি রাজনৈতিক দল সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কাছে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের দাবি মণিপুর ইস্যু নিয়ে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
কংগ্রেস, জনতা দল (ইউ), সিপিআই, সিপিআই (এম), অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), আম আদমি পার্টি (আপ), অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), শিবসেনা (ইউবিটি) এবং বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
মুখ্য়মন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমার সচিবালয়ে ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং তার অফিসিয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা ও ইবোবি বলেছিলেন, দশটি রাজনৈতিক দল মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে অনুরোধ করেছে এবং মণিপুর সঙ্কটের অবসান ঘটাতে অনুরোধ করেছে।