বন্যার জেরে এমনিতেই অসমের অবস্থা দুর্বিষহ। তারইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ধস নেমে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২০ জনের। আগত হয়েছেন কয়েকজন।
জেলা প্রশাসনের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ছ'টা নাগাদ হাইল্যাকান্দির বোলোবাবাজারের মহোনপুরের কাছে ধস নামে। তার জেরে মৃত্যু হয় দুই শিশু, এক মহিলা-সহ সাতজনের। তাঁরা একটি টিনের ঘরে ছিলেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু'জন। আহতদের দ্রুত হাইল্যাকান্দির সদর শহরের এস কে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তার আগে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ হাইল্যাকান্দির পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ জেলায় ধস নামে। তার জেরে ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কাছার জেলার কোলাপুর গ্রামের জয়পুরে আরও একটি ধসের ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। তাঁরা দেহগুলি উদ্ধার করেন।
ধসে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘অসমের বরাক উপত্যকায় ধসের কারণে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা। প্রত্যেকের সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি।’
দুঃখপ্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালও। একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘টানা বৃষ্টির জেরে বরাক উপত্যকায় ধস নেমে প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।’ ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।