মহারাষ্ট্রের উজানি জলধারে দূষণ নিয়ে এর আগেই সতর্ক করেছেন পরিবেশবিদরা। আর এবার এই জলাধারে দূষণ নিয়ে মারাত্মক আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত। শুক্রবার পরিবেশ বিভাগের একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন, উজানি জলাধারের দূষিত জলের কারণে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের কয়েকটি জেলার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: সবুজ পৃথিবী গড়ার বার্তা দিতে পিছন দিকে হেঁটেই দার্জিলিং থেকে গঙ্গাসাগর যাত্রা!
প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষ্মণ জগতাপের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পুণে এবং আশেপাশের এলাকা থেকে শিল্প বর্জ্য আসার ফলে দূষিত জল বিভিন্ন নদীর মাধ্যমে উজানি জলাধারে প্রবাহিত হয়। এই জলাধারটি থেকে পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং মারাঠওয়াড়ার বেশ কয়েকটি জেলায় জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। একই জল কর্ণাটকের অনেক জেলায় পৌঁছয়। মন্ত্রীর আশঙ্কা এই জল পান করার ফলে দুই রাজ্যের জেলাগুলির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমি যে তথ্য উল্লেখ করেছি তা পরিবেশ দফতর তৈরি করেছিল। আমরা সকলেই জানি কীভাবে মুলা এবং মুথা থেকে দূষিত জল উজানি জলাধারে প্রবাহিত হয়। এছাড়া, ভিগাওয়ান এবং আশেপাশের অঞ্চল থেকে শিল্পের বর্জ্যও জলাধারে পৌঁছয়। এরপর শোধিত জল নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তিনি জানান, দূষিত জল মানুষের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
মন্ত্রী আরও বলেন, পঞ্জাবের কৃষকরা উৎপাদন বাড়াতে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করেন। পঞ্জাবে ক্যান্সারের ঘটনার মূল কারণ হল কৃষকদের অত্যধিক রাসায়নিক ব্যবহার। এখন মহারাষ্ট্রেও একই ঘটনা ঘটছে। স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কৃষকরা তাদের উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার শুরু করেছে। এপ্রসঙ্গে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সকলের পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।’
অন্যদিকে, এলাকায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিভাগ মহারাষ্ট্রের পুর কমিশনারদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খুব বেশি অভিযোগ পায়নি। তিনি জানান, নতুন হাসপাতাল করার জন্য কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭০০ কোটি বরাদ্দ পেয়েছে মহারাষ্ট্র। গ্রামীণ এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ হাসপাতালে তহবিল ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।