মথুরার জেলা আদালত শনিবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে শাহি ইদগাহ মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিল। হিন্দু পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন বিতর্কিত স্থানের সমীক্ষার আদেশ জারি করেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ জানুয়ারি। সেদিনই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে। চলতি বছরই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে এই ধরনেরই এক সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই একই ধরনের একটি সমীক্ষা হতে চলেছে মথুরার ইদগাহ মসজিদে। আবেদনকারীদের দাবি, শাহি ঈদগাহ মসজিদের ভেতরে ওম, স্বস্তিক এবং শেষনাগ সহ হিন্দু ধর্মের অবশিষ্টাংশ এখনও রয়েছে যা প্রমাণ করতে পারে যে এটি মূলত ঠাকুর কেশব দেব মন্দির ছিল।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই আবহে বিগত দিনে এই মন্দির সংলগ্ন শাহি ইদগাহ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দিরের কাছে যে মসজিদটি আছে, তা হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন আগেই মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সেই মসজিদ এলাকায় সমীক্ষার জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনরকে নিয়োগের পিটিশন দায়ের হয় আদালতে। এই একই ধরনের এক পিটিশনের ভিত্তিতেই কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা হয়েছিল। এবার মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি সহ একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হল।
ভগবান কৃষ্ণের বন্ধু হিসাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইদগাহ মসজিদের জমি বিবাদ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সিভিল কোর্ট মামলাটি তখন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হলে প্রায় দেড় বছর ধরে শুনানি চলে এর। মামলায় সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, ট্রাস্ট মসজিদ ইদগাহ, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি সেবা সংস্থাকে পক্ষ করা হয়েছিল। চলতি বছর মে মাসে সেই মামলা গৃহীত হয় আদালতে।
দাবি করা হয়, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির মোট ১৩.৩৭ একর জমির মধ্যে ১১ একর জমিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান প্রতিষ্ঠিত। শাহি ইদগাহ মসজিদটি ২.৩৭ একর জমির উপর নির্মিত। এই ২.৩৭ একর জমি দখলমুক্ত করে শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে আবেদনে। মামলাকারীদের দাবি, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনও আপস করার অধিকার নেই। জমিটি ঠাকুর বিরাজমান কেশব কাটরা মন্দিরের নামে।