এই ঘটনা মণিপুরের ইম্ফলের। গত ৬ বছর ধরে সেখানে এক মেয়ে তার বাবার হাতে ধর্ষিতা হয়েছে। ১৫ বছরের সেই মেয়ে শেষ পর্যন্ত বিষ পান করে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। রবিবার রাতে বিষ পান করার পর কিশোরী অসুস্থ হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছতে তার শারীরিক অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার শুরু ২০১৬ থেকে। তখন থেকে বাবার হাতে দিনের পর দিন ধর্ষিতা হত নাবালিকা। ১৫ বছরের মেয়েটি শেষে আর সহ্য করতে পারছিল না। বিষ পান করা পর তাকে প্রাথমিকভাবে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। তবে বাঁচার লড়াই বেশিদিন থাকে না। ৩১ জুলাই বিষপানের ঘটনার পর গতকালই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে বিষপানের পর ৩ দিন ধরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়নি। যার জেরে এই মৃত্যু। জানা গিয়েছে বিষপানের পর তার কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। যার জেরে তার মৃত্যু হয়। বর্ষায় নখে সংক্রমণে কষ্ট পাচ্ছেন? কয়েক কোয়া রসুন আর এই ভিনিগারে মিটবে সমস্যা
ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় থৌবাল মহিলা পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। আইপিসি ৩০৫ ও সেকশন ৬-এ মামলা দায়ের হয়েছে মৃতার বাবার বিরুদ্ধে। পুলিশ মামলা শুরু করেছে। তবে তার আগেই ক্ষোভে ফুঁসে জনতা ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে। মৃতার ডায়রি থেকে জানা গিয়েছে যে সে এই ঘটনা সম্পর্কে তার ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুকে তথ্য জানায়। সাহায্য চায় ঠাকুমার। তবে ঠাকুমা উল্টে ভয় দেখাতেই সে আর মুখ খুলতে পারেনি।