প্রায় দেড় বছর পর মুক্তি পেলেন ইউএপিএ ধারায় বন্ধই থাকা অসমের বিধায়ক তথা সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারী অখিল গগৈ। এনআইএ আদালতের সেই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেন, 'এই রায় শুধু আমার জন্যে ঐতিহাসিক, এমনটা নয়। এটা সমগ্র ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার জন্যে ঐতিহাসিক। গত কয়েক বছর ধরে মনে করা হচ্ছিল যে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। তবে এই রায় দেখিয়ে দিল যে আদালত স্বতন্ত্র ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পাশাপাশি এই রায় এটাও দেখাল যে এনআইএ-র মতো সংস্থা এবং ইউএপিএ-র মতো আইনকে সরকার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে।'
মুক্তি পেয়ে অখিল গগৈয়ের অভিযোগ, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁকে ২০১৩ সালের একটি মামলার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হয় যাতে তিনি জামিন না পান। পাশাপাশি তিনি জানান বন্দি অবস্থায় কোভিড আক্রান্ত হওয়া তাঁর জীবনের সবথেকে অন্ধকারতম দিন। তাঁর বন্দিদশা তাঁর স্ত্রী, সন্তান এবং মাকে বেদনা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া তিনি জানান এবার নতুন করে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, এবার আন্দোলন শুধু রাস্তায় নয় বরং বিধানসভার অন্দরে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে অসমেও সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু হয়। অখিল ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা হিংসাত্মক প্রতিবাদে সামিল ছিলেন। ইউএপিএ আইনের আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে সেই সময় দু’টি মামলা করা হয়। এই দু’টি মামলাতেই অখিল ও তাঁর সঙ্গীদের অব্যাহতি দিয়েছে এনআইএ বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, জেলে বন্দি থাকা অবস্থাতেই ভোটে লড়ে অসমের শিবসাগরের বিধায়ক নির্বাচিত হন অখিল গগৈ। গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।