পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল ১ জানুয়ারি থেকে নয়া পোশাক বিধি চালু হবে। সেই মতোই ১ জানুয়ারি থেকে নয়া পোশাক বিধি বলবৎ হল জগন্নাথ মন্দিরে। সেক্ষেত্রে এবার থেকে আর হাফ প্যান্ট পড়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। এর পাশাপাশি হাফ হাতা জামা এবং ফুটো জিন্স প্যান্ট পড়েও মন্দিরে প্রবেশ করানো যাবে না। পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক পূণ্যার্থীরাই মন্দির-উপযোগী পোশাক পরে দেব দর্শনে আসছেন না। সেই কারণে শালীনতা বজায় রাখার জন্য জগন্নাথ মন্দিরে আগত ভক্তদের জন্য নতুন পোশাকবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তায় গঠন হবে বিশেষ বাহিনী, অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রীর
জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে, মন্দিরে প্রবেশের জন্য ভক্তদের শালীন পোশাক পরতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ধুতি ও গামছা পরে প্রবেশ করতে হবে এবং মহিলাদের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরতে হবে। সেইমতোই এদিন এভাবেই পোশাক পরে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) হোটেলগুলিকে পোশাক বিধি সম্পর্কে ভক্তদের সচেতন করার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী পুরীতে এসে হোটেলে ওঠেন। এরপর সেখান থেকেই মন্দিরে আসেন। এছাড়াও এসজেটিএ মন্দিরের মধ্যে গুটখা এবং পানের পিক ফেলার পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধেও সতর্কতা বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এগুলি আগেই নিষিদ্ধ ছিল। তবে নতুন বছর থেকে এ বিষয়ে আরও তৎপর হচ্ছে মন্দির প্রশাসন।
জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মন্দিরে সাড়ে তিন লক্ষ ভক্তের ভিড় হয়েছে। পুলিশের মতে, এই বছর নববর্ষের দিনে মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ছিল।ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার আবাসস্থল মন্দিরে যাতে কোনও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মন্দিরের বাইরে তৈরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টেনসাইল ফ্যাব্রিক কাঠামোটি সকালেই চালু হয়ে যায়। সেখানে বাড়তি বসার ব্যবস্থা রয়েছে। জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক করিডোর প্রকল্পের ফলে মন্দিরের পরিবেশ দেখতে চাওয়ার কারণে এই ভিড় বেড়েছে।