নিকারাগুয়াগামী ডাঙ্কি ফ্লাইট ফিরে আসার পরে ২ বছর বয়সি একটা শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে এই খবরের মধ্য়ে সত্য়তা নেই।
নিকারাগুয়াগামী ফ্লাইট এয়ারবাস এ 340। সেই বিমানে ২৭৬জন যাত্রী ছিলেন বলে খবর। সেই বিমানকে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সে আটকে দেওয়া হয়েছিল। বিমানে মানব পাচার করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলেই আটকে দেওয়া হয় বিমানটিকে। এরপর ২৬ ডিসেম্বর বিমানটি ফিরে আসে মুম্বইতে। আর তখনই অভিযোগ ওঠে সেই বিমান ২ বছরের একটি শিশু ছিল। তার অভিভাবকরা সঙ্গে ছিলেন না। তাকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পুলিশের দাবি খবরটা ঠিক নয়।
গুজরাটের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিকাশ সহায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই নিউজ রিপোর্টটা একেবারেই ঠিক নয়। আমাদের অফিসাররা যাত্রীদের সব রেকর্ড খতিয়ে দেখেছেন। এরপর দেখা যায় ওই নাবালক তার বাবা মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে গিয়েছে।
এদিকে নিউজ রিপোর্টে বলা হয়েছিল তার সঙ্গে নাকি অভিভাবকরা কেউ ছিলেন না। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই খবর অস্বীকার করেছে। অফিসাররা আগেই জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ৬০জন যাত্রী ছিলেন গুজরাট থেকে। সিআইডি তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। লাটিন আমেরিকা যাওয়ার পরে তাদের আমেরিকা চলে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, যাত্রীরা তাঁদের বয়ানে জানিয়েছেন, তারা পর্যটক হিসাবে যাচ্ছিলেন। তবে এর পেছনে এজেন্ট কারা ছিল তাদের খোঁজ চলছে।
কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল একটি বিমান। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছে। তাতে ছিলেন ৩০৩ জন ভারতীয়। এই আবহে রবিবার এই মামলায় ফরাসি আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানে থাকা ভারতীয়রা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। এদিকে আটক করা বিমানটিকেও ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
উড়ান সংস্থার আইনজীবী কথা বলেন ফরাসি প্রশাসনের সাথে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যে বিমানে করে এই ভারতীয়দের মধ্য আমেরিকার দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি এ৩৪০। রোমানিয়ার 'লেজেন্ড এয়ারলাইন্স' নামক সংস্থার দ্বারা বিমানটি পরিচালিত হয়। অবশেষে সেই বিমানে করেই ভারতীয়দের ফ্রান্স থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরাতে নেমেছিল রোমানিয়ার বিমানটি। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানটিকে আটকেছিল ফরাসি পুলিশ। জানা যায়, সেই বিমানে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই কাজ করতেন। সেখান থেকেই নিকারাগুয়ার এই বিমানে চাপানো হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে আমেরিকা বা কানাডায় এই ভারতীয়দের পাচার করা হত বলে দাবি করা হয়।