ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংকট নিয়ে গবেষণায় স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি। অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন বেস এ বার্নানকে, ডগলাস ডব্লুউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডাইভিগ। বার্নানকে আবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান ছিলেন।
সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে আলফ্রেড নোবেলের তালিকায় (১৮৯৫ সালের তালিকায়) ছিল না। পরবর্তীতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে অর্থনীতিতে নোবেল প্রদানের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়। তারপর ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল প্রদান করা হচ্ছে। যে পুরস্কারের আসল নাম হল 'Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel'।
আরও পড়ুন: Annie Ernaux: কে এই অ্যানি এরনো, নিজের স্মৃতিকেই অবিশ্বাসের মুখে দাঁড় করানো এই লেখিকা
অর্থনীতিতে নোবেল নিয়ে সোমবার সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ রয়্যাল সায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, অর্থনীতিতে ব্যাঙ্কের গুরুত্ব কতটা, তা বুঝতে সাহায্য করেছে তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদের গবেষণা। বিশেষত আর্থিক সংকটের সময় ব্যাঙ্কের ভূমিকা বোঝানোর ক্ষেত্রে ওই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে মূলধনী বাজারের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তাও তুলে ধরেছেন ওই তিন অর্থনীতিবিদ। 'তাঁরা যে বিশ্লেষণ করেছেন, মূলধনী বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে তা জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে। '
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদদের পরিচয়
মার্কিন অর্থনীতিবিদ বার্নানেকে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান ছিলেন। 'আধুনিক ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ আর্থিক সংকট' (তিরিশের দশকে 'গ্রেট ডিপ্রেশন') নিয়ে বিশ্লেষণের জন্য ৬৮ বছরের অর্থনীতিবিদকে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন, যখন আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে তাঁদের গচ্ছিত অর্থ তুলে নেন, তখন ব্যাঙ্কের অবস্থা কতটা বিপজ্জনক হয়। যিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনের ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
অন্যদিকে, চিকাগো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেন অপর নোবেলজয়ী ৬৭ বছরের ডায়মন্ড। আবার সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হলেন ডাইভিগ। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কোনও ব্যক্তির সঞ্চিত অর্থকে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কীভাবে কোনও ব্যাঙ্ক 'সর্বোত্তম সমাধানসূত্র' প্রদান করে, তা দেখিয়েছেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডাইভিগ এবং ডায়মন্ড।