সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন বাংলার ১৯জন তৃণমূল নেতা। ইডিকে পার্টি করার জন্য় হাইকোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা সহ অন্য়ান্যরা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। এবার সেই মামলায় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সূত্রের খবর এদিন চার্ট করে দেখানো হয় কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষের আইনজীবীর দাবি, সবটাই তো এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আলাদা করে সম্পত্তি বৃদ্ধির কথা কেন বলা হচ্ছে?
পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্পত্তির ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলেই সেখানে ইডির মতো এজেন্সিকে পার্টি করাটা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনওভাবেই অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। এদিকে এফিডেভিটে যে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছিল তার ভিত্তিতেই এই মামলা করা হয়েছিল।
আদালতের রায় প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ছে না। কুৎসার মাধ্যমে যে নেগেটিভ ধারনা প্রচার করছেন বিরোধীরা সেটাও মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেল।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা কুৎসার রাজনীতি করি না। তাছাড়া এই মামলা আমরা করিনি। সমস্ত সত্য় মানুষের কাছে আসবে।
এদিকে বিরোধীরা বার বারই অভিযোগ করেন, গত কয়েকবছরে তৃণমল নেতাদের সম্পত্তি হু হু করে বেড়েছে। বেনামেও সম্পত্তি করা হয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি।