গেমিং অ্যাপ পাবজি খেলতে গিয়ে ঘটে গিয়েছিল প্রেম। তবে দুই ব্যক্তিত্বের মাঝে পড়ে গিয়েছিল দেশভাগের কাঁটাতার। সেই বিভেদ মুছতে গিয়ে পাকিস্তানের সীমা গুলাম হয়দর ভারতে আসেন অবৈধভাবে। কার্যত তাকে অনুপ্রবেশ বলা যায়। নেপালের মারফৎ তিনি ভারতে চলে আসেন। এদিকে ততক্ষণ নয়ডায় সীমার প্রেমে কাবু সচিন নামের এক যুবক। কিন্তু সীমার ভারতে আসাই তাঁর কপালে জোটাল প্রবল বিপত্তি!
মোবাইলের গেমিং অ্যাপ পাবজি খেলতে গিয়ে দুজনের মধ্যে আলাপচারিতা। তবে সীমা ততদিনে ছিলেন পাকিস্তানে, আর ভারতের নয়ডায় থাকতেন সচিন। আলাপ গড়ায় প্রেমের দিকে। এরপর সেই প্রেম ধীরে ধীরে আরও গভীর হয়। শেষমেশ পাকিস্তানে না থাকতে পেরে ভারতের পথে এগোতে থাকেন সীমা। এই পর্যন্ত ঘটনা পুলিশ আপাতভাবে জানতে পেরেছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সীমা ভারতে আসেন। তবে যে পন্থা অবলম্বন করে তিনি ভারতে আসেন, তা সঠিক নয়। সীমা নেপালের পথ ধরে ভারতে চলে আসেন। তাঁকে ও তাঁর ৪ সন্তানকে নিয়ে সীমা নয়ডায় সচিনের সঙ্গে একসঙ্গে ঘর বাঁধেন। বিয়ে না হলেও, তাঁরা একই সঙ্গে থাকতে শুরু করে দেন। গ্রেটার নয়ডার রাবুপাড়ায় তাঁরা একই ছাদের তলায় সংসার শুরু করেন। তবে সীমার আসল পরিচয়ের খবর যায় পুলিশের কাছে। স্থানীয় পুলিশ যেই না খবর পায় যে, এক পাকিস্তানি মহিলা এলাকায় বসবাস করছেন, তখনই শুরু হয়ে যায় খোঁজ খবর। এদিকে, সচিনের কানে যায় যে পুলিশের কাছে খবর এসে গিয়েছে যে, পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে সীমা এসে সচিনের সঙ্গে বসবার করছেন। এরপরই সচিন সীমার ৪ সন্তান ও সীমাকে নিয়ে পালিয়ে যান।
পিছু ছাড়েনি পুলিশও। ধাওয়া করা হয় সচিন ও সীমার। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়েন তাঁরা। যে বাড়িতে সচিন ও সীমা বসবাস করতেন, সে বাড়ির বাড়িওয়ালা বলছেন, তাঁরা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি যে এমন কিছু ঘটছে। সীমাকে সাধারণ ভারতীয় মহিলার মতোই তাঁদের মনে হয়েছে। তিনি যে পাকিস্তানি বোঝেননি আশপাশের অনেকেই। এদিকে, পুলিশের জালে আপাতত সচিন ও সীমা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।