করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের ঘুরতে শুরু করেছে চাকা। জুলাই মাসে ভারতে যাত্রীবাহী যানবাহন বিক্রি আরও ১৪.১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বিতীয় ওয়েভে এমনিতেই বিধিনিষেধ তুলনামূলকভাবে সীমিত ছিল। অর্থনৈতিক প্রভাবও প্রথম ওয়েভের তুলনায় কম পড়েছে। এদিকে লকডাউন শিথিল হতেই অনেকে আরও বেশি করে রাস্তায় বের হতে পারছেন। এমন পরিস্থিতিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন অনেকেই। তাছাড়়া সমস্ত বাজেট সেগমেন্টের ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে ভাল ভাল ফিন্যান্স অপশনও দিচ্ছে বেশিরভাগ সংস্থা। আর তার প্রভাবেই চাঙ্গা হচ্ছে গাড়ির বাজার।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)। সেটি অনুযায়ী, জুন মাসে ২,৩১,৬৩৩ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৬৪,৪৪২ ইউনিটে। যদিও এটি পুরোটাই হোলসেল বা ফ্যাক্টরি ডিসপ্যাচের পরিসংখ্যান। শোরুমে বিক্রি হওয়া গাড়ির পরিসংখ্যান নয়। তবে, বাজারে চাহিদা আছে, বিক্রি হচ্ছে বলেই এত বেশি সংখ্যক গাড়ি ডিসপ্যাচ হচ্ছে, বলে ধরে নেওয়া যায়।
এর আগেই এপ্রিল-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে চাপে ছিল গাড়ির বাজার। উত্পাদন স্থগিত হওয়া, মাল পরিবহণে সমস্যা, ডিলারশিপ বন্ধ থাকা, ইত্যাদি কারণে থমকে গিয়েছিল গাড়ির বাজার। কিন্তু দ্রুত সেই পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে এসেছে গাড়ির বাজার।
তবে এরই মাঝে বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাকটর চিপের অভাব দেখা দেয়। তার ফলে সময়ে গাড়ি উত্পাদন করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায় বেশিরভাগ সংস্থাই। তার ফলে তৈরি হয় লম্বা ওয়েটিং লিস্ট। তবে সব মিলিয়ে শেষমেশ আবারও চেনা ছন্দের ফিরছে অটোমোবাইল সেক্টর। এই সেক্টরেই দেশের বহু মানুষের রুজি-রোজগার জড়িত। ফলে এর প্রভাব যে বেশ ইতিবাচক, তা বলাই যায়।