সংবিধানের ৩৭০ ধারার প্রত্যাহারের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বছরদেড়েক আগে কুর্তা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সংবিধানের কপি ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। আর বিদায়বেলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্যসভার সেই সাংসদ মির মহম্মদ ফয়াজ। জানালেন, যখনই অনুরোধ করা হয়েছে, তখন কাশ্মীরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিদায়বেলার ভাষণে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সাংসদ বলেন, ‘আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথা বলেছেন, মানুষ বেরিয়েছেন। যা হয়েছে, তা বলা উচিত। আমি দেখেছি, উজ্জ্বলা বা বাকি যোজনা আছে। আমি যখন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, বছরে পাঁচ লাখ মিলত। এখন যখন লোকজনদের জিজ্ঞাসা করি, তাঁরা বলেন যে চতুর্দশ অর্থ কমিশনে পাঁচ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যা হয়েছে, তা বলা উচিত। আমাদের (উঁচু এলাকার) যে মহিলারা জঙ্গল থেকে কাঠ নিয়ে আসতেন, তাঁদের ঘরেও গ্যাস আছে আজ।’
বিদায়ী ভাষণের সময় কিছুটা আবেগতাড়িতও হয়ে পড়েন ফয়াজ। তারইমধ্যে জানান, যখনই প্রয়োজন হয়েছে, তখনই কেন্দ্রের তরফ থেকে সাহায্য মিলেছে। কখনও খালি হাতে ফিরতে হয়নি। বরং জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশের জন্য সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এখানে পীযূষজি আছেন, জেটলিজি ছিলেন, নড্ডাজি ছিলেন, জিতেন্দ্রজি আছেন, প্রধানজি আছেন। যখনই আমাদের রাজ্যের কোনও বিষয় নিয়ে গিয়েছি, কখনও খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। কোনও সমস্যা হলে আমাদের রাজ্যের লোক এবং আমলাদের তরফ থেকে সমস্যা হয়েছে। এখান থেকে কোনও সমস্যা হয়নি। সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
তবে মোদী সরকারের প্রশংসা করলেও জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ফয়াজ। তাঁর মতে, ‘তার ফলে দেশের প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের ভরসা আরও মজবুত হবে। দেশের উন্নতির পথে আরও এগিয়ে যাবে।’