গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ তৈরির ক্ষেত্রে এবার বড় খবর। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী ২৯.৩ মিলিয়ন গরিব মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই বাড়ি তৈরির টার্গেট ঠিক করা হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস। তার মধ্য়ে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে বলে খবর।
এদিকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৪ মিলিয়ন পাকা বাড়ি গরিব মানুষের জন্য় তৈরি করা হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যেই আরও ৫ মিলিয়ন পাকা বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে ০.৩ মিলিয়ন বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র শীঘ্রই মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে গরিব মানুষের বাড়ির সমস্য়া অনেকটাই মিটতে পারে দেশজুড়ে।
এদিকে দেশের সমস্ত বকেয়া প্রকল্প ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ সালের মধ্য়ে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সূত্র থেকে হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি ৫.৩ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করা হবে।
এদিকে সাধারণত বর্ষাকালে নির্মাণকাজ কিছুটা থমকে যায়। সেই মতো বর্তমানে নির্মাণকাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে বলে খবর।
তবে সামনেই একের পর এক নির্বাচন। সেক্ষেত্রে একেবারে সময় বেঁধে দিয়ে প্রকল্প শেষ করার টার্গেট দিচ্ছে সরকার। হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে খবর, মূলত স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস. গান্ধীর জন্মজয়ন্তী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের তারিখ ধরে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে।
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নয়, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার ক্ষেত্রেও টার্গেট পূরণ করার জন্য় সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের বিনা পয়সায় চিকিৎসার অন্যতম স্কিম হল আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। সূত্রের খবর, আগামী ৪ মাসের মধ্য়ে আরও প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষকে এই পরিষেবার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত উত্তরপ্রদেশে, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে অতিরিক্ত ১৭০ মিলিয়ন মানুষকে এই বিমার আওতায় আনা হবে। এই বিমা কার্যত পৃথিবীর সবথেকে বড় বিমা বলে গণ্য করা হয়। বর্তমানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন পরিবার এই বিমার আওতায় এসেছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্য়তম হল এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও আয়ুষ্মান ভারত। তবে বর্তমানে এই বাড়িগুলির সঙ্গে স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় শৌচাগার তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।