পঞ্জাব নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনায় লাখ টাকার প্রশ্ন ছিল যে, কংগ্রেস কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী করতে চলেছে? উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পঞ্জাব কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইস্যুতে সুনীল জাখরকে ঘিরে একাধিক খবরের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপর শিখ ও হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইস্যুতেও বিস্তর আলোচনা চলে পঞ্জাবের রাজনীতিতে। নাম উঠতে শুরু করে নভজ্যোৎ সিং সিধুরও। ফলে জল্পনার পারদ চড়ছিলই। কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে জল্পনায় উঠছিল বহু সম্ভাব্য নাম। এমন পরিস্থিতিতে যাবতীয় জল্পনার যবনিকা সরিয়ে রাহুল গান্ধী জানান দিলেন , পঞ্জাবের তখতের দাবিদার হিসাবে তাঁর দলের আস্থা রয়েছে চরণজিৎ সিং চান্নির উপর।
এদিন লুধিয়ানায় কংগ্রেসের এক সভাস্থল থেকে মঞ্চে চরণজিৎ সিং চান্নির নাম রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেন। ফলে সভাস্থল থেকেই স্পষ্ট হয় যে পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চলেছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। উল্লেখ্য, পঞ্জাব কংগ্রেসে কার্যত গত কয়েক বছরে ধুমকেতূর মতো করে উত্থান হতে দেখা যায় নভজ্যোত সিং সিধুর রাজনৈতিক কেরিয়ারের। তাঁর সঙ্গে একটা সময় বিবাদ চরমে ওঠে পঞ্জাব কংগ্রেসের ‘ক্যাপ্টেন’ হিসাবে আখ্যা পাওয়া প্রাক্তন সেনা জওয়ান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। দল ছাড়েন অমরিন্দর। তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হন চান্নি। তবে এরপরও মনে করা হচ্ছিল যে, দিল্লির হাইকমান্ড সম্ভবত ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নভজ্যোত সিং সিধুকেই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসাবে পঞ্জাবে প্রজেক্ট করতে পারে। তবে সে গুড়ে বালি ছড়িয়ে এদিন রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে দিলেন যে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর তখতের সম্ভাব্য দাবিদার হিসাবে তাঁর দলের আস্থা রয়েছে চরণজিৎ চান্নির উপরই।

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীকে বেছে নিতে এক ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্সের পদ্ধতি অবলম্বন করে কংগ্রেস। লুধিয়ানার সভায় উপস্থিত কংগ্রেস নেতাদের প্রতিক্রিয়ার সাপেক্ষেই পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী বেছে নেওয়া হবে বলে স্থির করেছিল কংগ্রেস। সেই মতো রবিবার আয়োজিত হয় সভা। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট যায় চান্নির দিকে। উল্লেখ্য, এর আগে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা সুনীল জাখর জানিয়েছিলেন যে, যখন দল ও মসনদ ছেড়ে অমরিন্দর সিং চলে যান, তখন কংগ্রেসের ৪২ জন বিধায়ক তাঁর সমর্থনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য। এক ভাইরাল ভিডিয়োতে জাখরের এই মন্তব্যে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরমহলের ফাটল বেরিয়ে আসে বলে অনেকেই মনে করেন। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের ঘোষণা ছিল একটি তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব। আর সেখানে ফের একবার চরণজিৎ সিং চান্নির পক্ষেই যায় দলের সংখ্যাগরিষ্ঠের স