পঞ্জাবে বিষমদ কাণ্ডে মৃত কমপক্ষে ২০। লোকসভা ভোটের আগে এই মর্মান্তিক ঘটনা সেরাজ্যের রাজনীতিতে ফেলেছে প্রভাব। এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতেই দিল্লি পৌঁছন পঞ্জাবের আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। সেখানে তিনি রাস্তায় নেমে ঝোড়ো প্রতিবাদে শামিল হন কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ভাগবন্ত মানের রাজ্য পঞ্জাবে বিষমদ কাণ্ডে ঘটে যায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানের নিজের জেলা সাংরুরে ওই বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়ছে না বিরেধী শিরোমনি আকালি দল(SAD)।
সদ্য ভগৎ সিংয়ের গ্রাম খাটকার কালানে শহিদ বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানান শিরোমনি আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল। তিনি সেখানে এই বিষমদ কাণ্ড নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানকে। ভাগবন্ত মানকে টার্গেট করে আকালি দলের নেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলা সাংরুরে বিষ মদ খেয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত মূল হোথাদের গ্রেফতার করা হয়নি। আরও নিন্দনীয় বিষয় হল এই সংকটের সময়ে তার জনগণের পাশে না থেকে মুখ্যমন্ত্রী মান এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বার্থ রক্ষা করছেন দিল্লিতে।’ শিরোমনি আকালিদলের এই নেতা বলছেন, যে ২১ টি পরিবারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে যাওয়ার সময় এখনও পাননি মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। সুখবীর বাদল বলছেন, ‘তাঁর আবগারি মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলার ঘটনা ভুলে যান। মুখ্যমন্ত্রী বিষমদ কাণ্ডের জেরে মৃতদের সেই ২১টি পরিবারকে দেখতে যাওয়ারও সময় পাননি। এটা নিন্দনীয় যে তার নিজ জেলার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী তার দলের সুপ্রিমোকে খুশি করতে দিল্লির ‘তমাশা’ নিয়ে ব্যস্ত।’
শিরমনি আকালিদলের অভিযোগ, আপ সরকার পঞ্জাবের বিষমদকাণ্ডে অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা সংস্থাকে আড়াল করতে চাইছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে আকালিদল নেতা মদ প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। এদিকে, ঘটনার বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি (ADGP) পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে।