ধর্ষণের অভিযোগ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধেই। মোবাইল ফোনের টোপ দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রাজস্থানের ওই সরকারি অফিসের কর্মী। ঘটনার সূত্রপাত ১০ অগস্ট রাজস্থানের কারাউলি জেলায়। পরিবারের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে মোবাইল ফোন দেওয়ার টোপ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সুনীল কুমার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে। রাজস্থানের পাবলিক হেলথ বিভাগে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি।
গত ১০ অগস্ট বাড়িতে ছিলেন না ১৭ বছর বয়সি কিশোরীর বাবা। এই সুযোগকেই কাজে লাগান অভিযুক্ত। সেদিনই বেলা ১১টা নাগাদ কিশোরীর বাড়িতে আসে সুশীল। সরকারি প্রকল্পে কিশোরীর নাম উঠেছে, সে বিনামূল্যে একটি স্মার্টফোন পাবে, এই টোপ দেখিয়ে কিশোরীকে নির্যাতন করে অভিযুক্ত। তাকে নিয়ে গিয়ে একটি বাড়ির ভেতর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার দিন নির্যাতিতা বাড়িতে একা ছিলেন। বাবা কাজের সূত্রে জয়পুরে থাকেন। মেয়েটির মা কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে ১৭ বছরের কিশোরী বাড়িতে একা ছিল। কিশোরীকে মোবাইল ফোনের লোভ দেখিয়ে গাড়িতে তুলতে চায় সুনীল। মেয়েটি তার মাকে ফোন করতে চাইলে সুনীল তাকে নিষেধ করে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ দেয় সে। অভিযোগ, এরপরেই একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সুনীল।
মেয়েটি প্রতিহত করতে চাইলে অভিযুক্ত ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় তাকে। প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে। এরপর কোনও ক্রমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে মাকে সব ঘটনা খুলে বলে সে। এরপর ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সরকারি আধিকারিককে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ তার নাগাদ পায়নি। গণপিটুনি খাওয়ার পরে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রাজস্থানসহ ভারতের প্রতিটি শহরের কমবেশি প্রতি সপ্তাহের ধর্ষণের ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। নারী নির্যাতন, ধর্ষণের সংখ্যার বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় শিশু সুরক্ষা কমিশন। প্রসঙ্গত, এই ঘটনাটির ক্ষেত্রে কিশোরীটি নাবালিকা ছিল। ফলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্সো ধারা লাগু হওয়ার সম্ভাবনা।