অগ্নিবীর নিয়ে নানা সময়ে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার এই অগ্নিবীর নিয়ে মুখ খুললেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিবীরের ব্যাপারটি সেনাতে বেশ ভালো করেই এগোচ্ছে। ফিল্ড ইউনিটে একটা ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এই অগ্নিবীরের।
২০২২ সালের জুন মাসে সরকার এই অগ্নিপথ স্কিম লাগু করে। স্বল্প সময়ের জন্য এই অগ্নিপথ স্কিমকে লাগু করা হয়। ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে যুবক, যুবতীদের এই অগ্নিপথ স্কিমের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। চার বছরের সময়সীমার মধ্যে এই নিয়োগ করা হয়। তাদের যতজন নিয়োগ করা হয় তার মধ্য়ে ২৫ শতাংশকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য চাকরিতে রেখে দেওয়া হয়।
জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, আমি এটা বলতে পারি যে অগ্নিপথ স্কিমের পূর্ণাঙ্গ বিষয়গুলি নানা আলোচনার পরেই কার্যকরী করা হয়েছে। যে সমস্ত ইস্যু উঠে আসছে সেগুলি নিয়েও আগামী দিনে আলোচনা করা হবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে আমরা এনিয়ে আরও এগিয়ে যাব। খবর এডিটিভি সূত্রে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিবীরদের গ্রহণযোগ্যতা, ইতিবাচক মনোভাব এটা বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই অগ্নিবীর স্কিম সম্পর্কে বিভিন্ন ইউনিট থেকে যে ফিডব্যাক এসেছে সেটা বেশ ভালো। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। তবে সেই সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করাও সম্ভব হয়েছে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিবীর ও সাধারণ সেনাদের মধ্যে একটা যোগসূত্র টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে অগ্নিবীরদের নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিবীরদের হাত ধরেই সশস্ত্র বাহিনীতে নয়া প্রযুক্তি আসবে। তাতে যৌবনের ছোঁয়া লাগবে। সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রতিফলন হল তাঁদের উৎসাহ। এই বীরত্বই দেশের পতাকাকে উঁচু করে রেখেছে। এর সঙ্গেই তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা যে সুযোগ পাচ্ছেন তা সারা জীবনের জন্য তাঁদের কাছে গর্বের সম্পদ হয়ে থাকবে। বক্তব্য় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নারী অগ্নিযোদ্ধাদেরও উৎসাহ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন হবে। যেভাবে মহিলা অগ্নিবীররা দেশের নৌসেনায় যুক্ত হয়েছেন তা গোটা দেশের কাছে গর্বের। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে মহিলাদের বীরত্বের উচ্চ প্রশংসা করেন তিনি। একাধিক নজির তিনি সামনে আনেন। সিয়াচেনে দুর্গম বরফ প্রান্তরে মহিলারা যেভাবে দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত হয়েছেন তার প্রশংসা করেন তিনি।এর সঙ্গেই প্রতিরক্ষার সর্বক্ষেত্রে মহিলারা যেভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যাবতীয় বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করছেন তারও প্রশংসা করেন মোদী। এমনকী যুদ্ধ বিমান চালানোর ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন মহিলারা।