অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ঋতূরাজ অগস্তি। ল কমিশনের মাথায় রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি Sedition law বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ ধারা , রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ভারতের একতাবোধকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তিনি বলেন, কাশ্মীর থেকে কেরল, পঞ্জাব থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এই আইন অত্যন্ত দরকার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, স্পেশাল কিছু আইন যেমন আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট, ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার নজির রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রোদ্রোহিতার অপরাধকে দমানোর জন্য় এটা যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহিতার রুখতে নির্দিষ্ট আইন থাকা দরকার।
বিচারপতি অগস্তি জানিয়েছেন, এই আইনের প্রয়োজনীয়তার দিকগুলি খতিয়ে দেখার সময় প্যানেল দেখেছে, কাশ্মীর থেকে কেরলের বর্তমান পরিস্থিতি, পঞ্জাব থেকে উত্তর পূর্বের বর্তমান পরিস্থিতি এমনই যে ভারতের ঐক্যবদ্ধতা ও ভ্রাতৃত্বকে অটুট রাখার জন্য এই রাষ্ট্রোদ্রোহ আইন অত্যন্ত প্রয়োজন।
তবে তিনি জানিয়েছেন, এই আইনের একটা ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু তবুও বলছি এই আইনকে একেবারে বাতিল করে দেবেন না। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানির মতো দেশে এখনও এই ধরনের আইন রয়েছে।
এদিকে গত মাসে ২২ তম ল কমিশন এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। এই আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেব্যাপারেও বলা হয়েছে। তবে বিরোধীদের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দাবিয়ে রাখার জন্য় এই আইনকে প্রয়োগ করা হয়। এটা কোনওভাবেই মানা যায় না।
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে দমন পীড়ন করার জন্য এই আইনকে আরও কঠোরতম করার ব্যাপারে চেষ্টা করছে সরকার। এদিকে এই আইনের অপব্যবহার রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? সেই প্রসঙ্গে পিটিআইকে বিচারপতি অগস্তি জানিয়েছেন, একজন ইনস্পেক্টর বা তার থেকে বড় পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে দিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করানো দরকার। এরপর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে এটা নিয়ে এফআইআর করা হবে কি না?