ভাবা যায়! বিহারের মিম প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক আখতারুল ইমনের বাড়িতে একেবারে কিলবিল করছে সাপের বাচ্চা। কিষানগঞ্জ জেলার কোছাদামন এলাকায় তাঁর বাড়ি। রবিবার সেই বিধায়কের বাড়ি থেকে অন্তত ১৬টি জ্যান্ত ও ৬টি মৃত সাপের দেখা মেলে। এদিকে এত সাপ একটি বাড়িতে। সেটাও আবার বিধায়কের বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সাপুড়ে এসে সেই সাপগুলিকে ধরে ফেলে। তিনিও যেন সেই বাংলা ছড়ায় পড়া বাবুরাম সাপুড়ের মতো।
একেবারে যা তা অবস্থা। দিন দুয়েক আগে প্রথমে চারটে সাপের দেখা মিলেছিল। এরপর একে একে সাপের বাচ্চা বের হতে শুরু করে। বারান্দা, ঘর, রান্নাঘর সব জায়গায় কিলবিল করছে সাপ। শেষ পর্যন্ত ডাক পড়ে সাপুড়ের। সেই সাপুড়ে একে একে সাপগুলিকে ঝোলাতে পোড়েন।
তবে লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই সাপুড়ে জানিয়েছেন আরও সাপ ওই বাড়িতে রয়েছে। সেই সাপগুলিকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বিধায়কের বাড়ি থেকে সাপ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে আরও বড় সাপ হয়তো ওখানে লুকিয়ে রয়েছে। হয়তো তারই বাচ্চা এগুলি। বাড়ির বিভিন্ন কোনায় কোনায় তল্লাশি চালাচ্ছে সাপুড়েরা। মনে করা হচ্ছে সাপে ডিম পেড়েছিল। সেই ডিম ফুটেই বাচ্চা হয়েছে। আর সেই বাচ্চাই বাসা বেঁঁধেছে ওখানে। এদিকে একটি সাপ একবারে প্রায় ২০০টি ডিম পাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে একেবারে অগুনতি সাপের জন্ম হতে পারে ওখানে। আর তার মধ্যে যেগুলি বেঁচে থাকবে সেগুলিই বড় সাপ হয়ে যাবে। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এই সাপগুলি কোনও বিষধরের বাচ্চা কি না তা জানা যায়নি। তবে সাপগুলি বাড়িতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আর বর্ষার দিনে অনেক সময়ই এলাকায় সাপ বের হয়। সেক্ষেত্রে সাপটি কোনওভাবে বাড়ির মধ্য়ে ঢুকে পড়েছিল। এরপর সেই সাপের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। আর সেই বাচ্চাই একেবারে কিলবিল করছে ঘরের মধ্য়ে।