এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্তম্ভিত দিল্লির চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেখানে পথ চলতি কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে চিড়িয়া খানার তিনটি হরিণের। হরিণগুলির মধ্যে একটি বিশেষ সিকা শ্রেণির হরিণ ছিল। জানা গিয়েছে, ১১ ও ১২ নভেম্বরের রাতে ওই ঘটনা ঘটে যায়। পরের দিন সকালে চিড়িয়াখানার হরিণের খাঁচা খুলতেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা।
জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানার ভিতর হরিণের মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ঘিরে প্রাথমিকভাবে বহু ধরনের সন্দেহ দানা বাঁধে কর্তৃপক্ষের মনে। শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায় চিড়িয়াখানার নিজামুদ্দিন রেল ইয়ার্ড সংলগ্ন এলাকার পাঁচিল খানিকটা নিচু রয়েছে। আর সেখান দিয়েই ঢুকে পড়ছে বাইরের কুকুররা। ফলে ওই রেল ইয়ার্ডের দিকে চিড়িয়াখানার পাঁচিল বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য টেন্ডার পেশ করা হয়। বলা হচ্ছে, চিড়িয়াখানার প্রাচীল সংলগ্ন দেওয়ালে বাই থেকে প্রচুর আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আর তা এতটাই স্তূপাকৃতি হচ্ছে যে পাঁচিলের উচ্চতা বরাবর তা উঠে যাচ্ছে। আর আবর্জনার স্তূপ বেয়ে কুকুররা চিড়িয়াখানার ভিতর ঢুকছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমসিডিকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্মাণ কাজ ঘিরে এই আবর্জনার স্তূপ তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
'বন্ধু' মোদীকে সমর্থনের বার্তা! ভারতের জি ২০ সভাপতিত্ব নিয়ে টুইট বাইডেনের
আপাতত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই আবর্জনার সমস্যার সমাধান করার জন্য আর্জি জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র আবর্জনার সমস্যাই নয়, তার সঙ্গে পথচলতি কুকুরের চিড়িয়াখানায় আনাগোনা রুখতেও যাতে এমসিডি পদক্ষেপ করে তার আর্জি জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, দিওয়ালির সময় বাজির শব্দে বহু পথচলতি কুকুর চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকছিল। তবে বাজি বন্ধ হতেই কুকুরদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশ দেখা যাচ্ছে না বলেও জানা গিয়েছে।