আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য ক্রমাগত হয়রানি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উস্কানিমূলক কাজের প্রমাণ থাকতে হবে। বুধবার এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। চেন্নাইয়ের এক যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ ছিল স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি আর শাহ ও কৃষ্ণা মুরারির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি অভিযুক্ত স্বামী এবং শাশুড়িকে বেকসুর খালাস দেয় শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে দায়রা আদালতে অভিযুক্ত স্বামী এবং মৃতার শাশুড়িকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গিয়েছিল ছেলে ও মা। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে উচ্চ আদালতও। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিযুক্তরা। সুপ্রিম কোর্ট দুই অভিযুক্তকেই মুক্তির নির্দেশ দিল। শীর্ষ আদালতে রায়দানের সময় বলে, ‘আমরা মনে করি যে আবেদনকারীদের (ডাক্তার এবং তার মা) ভুলভাবে দোষী সাব্যস্ত ট্রায়াল কোর্ট করেছে। এবং ৩০৬ (আত্মহত্যার প্ররোচনা) এবং ৪৯৮এ ধারার (যৌতুকের জন্য হয়রানি) অধীনে আবেদনকারীদের সাজা বহাল রেখে হাই কোর্টের রায় ন্যায়সঙ্গত ছিল না।’ আদালত বলে, ‘ঘটনার (যুবতীর আত্মহত্যা) আগের দিনই অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিল মনোবিদের কাছে। স্ত্রীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ করেছিলেন। এর মাধ্যমে তো তিনি আর আত্মহত্যায় উস্কানি দেননি।’
সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘এটা মনে রাখতে হবে যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উস্কানির প্রমাণ থাকতে হবে। যদি শুধুমাত্র কারও বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ ওঠে এবং সেই অভিযুক্তের কোনও পদক্ষেপের প্রমাণ না মেলে তাহলে এটা বলা যায় না যে সে কাউকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। এর ফলে আইপিসি ৩০৬ নং ধারার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা সঠিক নয়।’