চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর চার জেলার একাংশে আগামী ১২ দিন কার্যত লকডাউনের ঘোষণা করা হল। আগামী ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ‘সর্বাধিক বিধিনিষেধের লকডাউন’ থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী।
তামিলনাড়ুতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪,৬৬১। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্তের হদিশ মিলেছে চেন্নাই থেকেই। এই অবস্থায় সোমবার জনস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেন পলানিস্বামী। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা হয়। তারপর তিনি জানান, ওই ১২ দিন কাঞ্জিপুরম, চেঙ্গালপাত্তু, ত্রিভাল্লুরের একাংশ এবং চেন্নাইয়ে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে। দুই রবিবার (আগামী ২১ এবং ২৮ জুন) পুরো লকডাউন হবে। অর্থাৎ ওই দু'দিন লকডাউন কোনওভাবেই শিথিল করা হবে না। শুধুমাত্র দুধ পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে।
পলানিস্বামী জানান, বাকি দিনগুলিতে অত্যাবশ্য়কীয় পণ্যের দোকান সকাল ছ'টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য আমজনাতকে গাড়ি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। বাড়ি থেকে দু'কিলোমিটার দূরত্বের মধ্য়ে দোকান সেইসব প্রয়োজন সামগ্রী কেনার আর্জি জানানো হয়েছে।
রেশন দোকান সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে। ওই ১২ দিনের মধ্যে শুধুমাত্র শেষ দু'দিন ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ কর্মী ব্যাঙ্কে আসতে পারবেন। তবে এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক চলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেস্তোরাঁ এবং খাবার দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। চা দোকান অবশ্য বন্ধ রাখতে হবে। উপযুক্ত আইডি কার্ড থাকলে ফুড ডেলিভারিতেও ছাড় মিলবে। এদিকে, অটোরিকশা, ট্যাক্সি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যজনিত কারণে সেগুলি ব্যবহার করা যাবে।