উত্তরপ্রদেশের মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মসজিদ বিতর্ক মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ। এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ চত্বর সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা চলবে। হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। শুক্রবার সেই মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। মামলার শুনানির পর এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:শাহি মসজিদের নীচেই কি কৃষ্ণ জন্মভূমি? মামলায় এবার বিরাট মোড়
এদিন সুপ্রিম কোর্ট মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করে প্রাথমিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। আদালতের তত্ত্বাবধানে কমিশনার এখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন।হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, আগামী ৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। বৃহস্পতিবার, এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ চত্বরের সমীক্ষা তদারকি করার জন্য একজন কমিশনার নিয়োগে অনুমতি দেয়। আবেদনকারীরা দাবি করেছেন, যেখানে ওই মসজিদটি রয়েছে সেখানেই শ্রীকৃষ্ণর জন্মস্থান ছিল। আর শাহি ইদগাহ মসজিদ একটি মন্দির ছিল। এ নিয়ে মামলা শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। প্রথমে হিন্দু পক্ষের তরফে মথুরার একটি সিভিল কোর্টে মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সিভিল কোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। পরে আবার মথুরা জেলা আদালতে এনিয়ে আবেদন করা হয়।
আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছিল, কৃষ্ণজন্মভূমিকে সুরক্ষিত রাখার অধিকার রয়েছে। এরপর ২০২২ সালের মে মাসে মথুরা জেলা আদালত মামলা চালানোর অনুমতি দেয়। পরে মুসলিম পক্ষ এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায়। সে ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ চত্বর সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। এরপরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ।
মামলায় হিন্দুপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ইদগাহ মসজিদের ওই জমিতেই ছিল কৃষ্ণের জন্মস্থানে। তাছাড়া প্রাচীন কেশবদাস মন্দিরও ছিল সেখানে। তাদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দির ধ্বংস করে ১৬৬৯ থেকে ১৬৭০ সালের মধ্যে মসজিদ তৈরি করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ, কমিশনের দায়িত্ব হল সম্পত্তির প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে তার ন্যায্য ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করা।