চিঠির দিন শেষ। এখন অনলাইন প্রেমের দিন। কেউ পাবজি খেলতে গিয়ে প্রেমে পড়ছেন। কেউ আবার ইনস্টাতে ছবি দেখেই প্রেমে ঢলে পড়ছেন। ভারত- পাক সীমান্তের বেড়াজালও আটকাতে পারছে না সেই প্রেমের টানকে। ইতিমধ্যে সচিন সীমার প্রেমের কাহিনি জেনে গিয়েছেন অনেকেই।
প্রথম প্রেমের কাহিনি-
পাবজি খেলতে গিয়ে সীমা হায়দারের সঙ্গে পরিচয় ভারতের সচিনের। এরপর সেই প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন সীমা। উত্তরপ্রদেশ এটিএস পাক চর হিসাবে সন্দেহ করে সীমাকে দীর্ঘ জেরাও করেছে। তবে সীমা কিন্তু এখনও প্রেমের জয়গান গাইছেন। তাঁর দাবি তিনি হিন্দু হয়ে গিয়েছেন।
দ্বিতীয় প্রেমের গল্প
এই সত্যি গল্পে প্রেমিকার নাম অঞ্জু। তিনি রাজস্থানের ভিওয়ান্ডির বাসিন্দা। ফেসবুকে পাকিস্তানের যুবক নাসরুল্লার সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর স্বামী সন্তানকে ছেড়ে পাসপোর্ট বানিয়ে সোজা পাকিস্তানে। সেখানকার লাহোরে গিয়ে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। তার স্বামীর দাবি, আপাতত অঞ্জু লাহোরেই রয়েছেন। সীমান্তের বেড়াজালও আটকাতে পারেনি তাদের। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যেমনই থাক, প্রেমের সম্পর্ক তাতে বিশেষ বাধা হয়ে দাড়ায়নি। আসলে প্রেম কি আর সীমান্ত মানে?
তৃতীয় প্রেমের ঘটনা-
এখানে প্রেমিকার নাম বারবারা। তিনি পোল্যান্ডের বাসিন্দা। বয়স ৪৯ বছর। পোল্যান্ডে একেবারে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন তিনি। সেসব ছেড়ে দিয়ে তিনি চলে আসেন ঝাড়খণ্ডে। ইনস্টাগ্রামে শাদাব মালিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের টানে তিনি চলে আসেন ঝাড়খণ্ডে। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। হাজারিবাগে থাকেন। সেখানেই চলে আসেন সেই বিদেশিনী। ৫ বছরের ভিসা পেতেই বাচ্চাকে নিয়ে বারবারা চলে আসেন হাজারিবাগে। তারা গোয়াতে হানিমুনে যান। আইনগত বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন। তিনি মিডিয়ার সামনে জানিয়েছেন ভারতের গ্রামেরও প্রেমে পড়েছেন তিনি। বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে তিনি ভারতের অখ্যাত গ্রামে থাকতে আসছেন। এটাই প্রেম।
আসলে পৃথিবীটা এখন হাতের মুঠোতে। তাই তো বারবারার সঙ্গে দেখা হচ্ছে শাদাবের। সীমার সঙ্গে দেখা হচ্ছে সচিনের। তৈরি হচছে মাখোমাখো প্রেমের গল্প। সীমান্তও আটকাতে পারছে না তাদের। ভালোবাসার টানে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন প্রেমিক প্রেমিকা। এক অন্য়রকম প্রেম। তবে প্রেম বরাবরই এরকম বেপরোয়া। যুগে যুগে এটাই হয়েছে। তবে অনলাইনের যুগে এখন অন্য়রকম প্রেম।