প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার শুক্রবার করমুক্ত ২৭.৬৫৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে। তবে ৬১১.৩ কোটির ঘাটতি রয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্র পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, কৃষি সহযোগী নানা ক্ষেত্রের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্কিম হিসাবে ১৩টি নয়া স্কিম চালু করা হয়েছে।
এই বাজেটে সমাজের সব শ্রেণির যেমন মহিলা, পড়ুয়া, যুবক-যুবতী, কর্মচারী, পেনশনভোগী, রূপান্তরকামী, তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি সকলেই উপকৃত হবেন। ২৭.৬৫৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। ১০ জুলাই ও ১২ জুলাই এনিয়ে আলোচনা হবে। জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহ রায়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প হিসাবে ১৩টি নতুন প্রকল্প যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, কৃষি, কন্যা, পশু পালন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর ফোকাস করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দার জন্য স্বাস্থ্য বিমা করা হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে, সিএম জন আরোগ্য যোজনা। এতে প্রতি বছর ৫৯ কোটি টাকা খরচ হবে। মুখ্যমন্ত্রী শস্য যোজনাতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া উন্নয়নে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ। মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী উন্নয়নে বরাদ্দ ৩০ কোটি। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা। এর মাধ্য়মে যুবক যুবতীদের পেশা উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নগর উন্নয়ন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা। ১০০ ওবিসি পড়ুয়াকে পড়ানোর জন্য বিশেষ প্রকল্প। মুখ্য়মন্ত্রী কন্য়া আত্মনির্ভর যোজনায় দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম ১০০জন ছাত্রীকে বিনাপয়সায় স্কুটি দেওয়া হবে। মৎস্য বিকাশ যোজনা ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ যোজনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সির উপর একটি সেন্টার গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ১৪৩৬ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ১৭৫৬ কোটি টাকা।
সামাজিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭০০০ কোটি টাকা।
গত বছর সরকার ২৬৮৯২.৬৭ কোটির ট্যাক্স ফ্রি বাজেট ঘোষণা করেছিল। গত বারের তুলনায় এবার ১৮.৩৪ শতাংশ বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত আর্থিক বছরের বাজেটে ৫৬৯.৫২ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল।