২৬-১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিস সইদ গেল কোথায় ? এনিয়ে নানা প্রশ্ন নানা সময়ে উঠেছে। তবে এবার রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল ওই জঙ্গি পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে। তার ৭৮ বছরের কারাবাস হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে হাফিজ সইদ জেল খাটছে। অন্তত সাতটি জঙ্গি হামলার ঘটনায় সে আর্থিক সহায়তা করত বলে অভিযোগ। তার জেরেই এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
সিকিউরিটি কাউন্সিল কমিটি একাধিক নামের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হয়েছে, তার অস্ত্র বহন করতে পারবে না, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
কমিটির ওয়েবসাইটে হাফিজ সম্পর্কিত তথ্য প্রথম দেওয়া হয়েছিল ৯ মার্চ ২০০৯ সালে। আবার এটা আপডেট করা হয়েছিল ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে।
হাফিজ সইদ লস্কর ই তইবার প্রধান। লস্করের নানা কু কাজকে পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্যতম মাথা হল এই ব্যক্তি। ভারতের মুম্বইতে হামলার পেছনেও হাত ছিল এই জঙ্গির। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেল আপাতত পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছে এই ব্যক্তি।
এদিকে এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে ভারত সরকার ২৬-১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ করেছিল, সূত্রের খবর এমনটাই। ভারতীয় আইনে তাকে যাতে শাস্তি দেওয়া যায় সেকারণেই এই অনুরোধ করা হয়েছে বলে খবর। একাধিক স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের কাছে এনিয়ে ভারতের তরফে সরকারি অনুরোধ করা হয়েছে। হাফিজ সইদকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের জন্য় বার্তা পাঠানো হয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর।
তবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি। তবে দিল্লির সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। যদিও ইসলামাবাদ দাবি করেছে, সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার 'সদিচ্ছা' তাদের আছে। তবে তাদের আরও দাবি, সেই ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই নিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রকের যুক্তি, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি নেই। তাই পাকিস্তানের জেলে বন্দি হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে না তারা।