তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ৫২ বছর কেটে গিয়েছে। তবে সদ্য স্বামীর ৬০ বছর পুরনো প্রেমের স্মৃতি উস্কে সেই প্রেমিকার চিঠিতে খানিকটা ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয় ফ্লোরিডার বার্থা ইয়াল্টারের। বার্থা ইয়ল্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তাঁর স্বামীকে খুন করার চেষ্টা করেছেন। নেপথ্য়ে রয়েছে স্বামীর ৬০ বছরের পুুরনো প্রেমিকার চিঠি। যে চিঠি তাঁর বৃদ্ধ স্বামীর কাছে আসে সদ্য। সেই চিঠি ঘিরেই ক্ষোভ জন্মায় বার্থার। জানা গিয়েছে, পুলিশকে ফোন করে বার্থার স্বামীই জানান, যে বার্থা তাঁকে খুন করতে চেষ্টা করেছেন। এরপরই বার্থাকে গ্রেফতার করা হয়।
বার্থার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর অভিযোগ, তাঁকে বাড়িতে খুন করার চেষ্টা করছিলেন বার্থা। যখন পুলিশ তাঁদের বাড়ি যায়, তখন দেখতে পায়, ওই বৃদ্ধ দুর্বল অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর গায়ে হাতে পায়ে আঘাত ও ফোস্কার দাগ। পুলিশ বলছে, মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত কোনও কামড় থেকে বৃদ্ধের গা বেয়ে ঝরছিল রক্ত। নর্থ মিয়ামি বিচ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বার্থা ও তাঁর স্বামী গত ৫২ বছর ধরে বিবাহিত। তাঁর স্বামী জানান, বার্থার ক্ষোভ জন্মায় ওই পোস্টকার্ড ঘিরে। ৬০ বছর আগে এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বার্থার স্বামী। যদিও বার্থা ও ওই ব্যক্তির তখনও বিয়ে হয়নি। সম্পর্ক ছিল বিয়ের আগের। সেই মহিলার চিঠিই সদ্য পৌঁছেছে বার্থার স্বামীর কাছে। আর তা জানতে পেরেই স্বামীকে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর স্বামী। বার্থার বৃদ্ধ স্বামী জানিয়েছেন, তাঁকে প্রথমে বালিশ দিয়ে মারধর করতে উদ্যত হন বার্থা। তারপর চলে আঘাত।
এদিকে, তদন্তকারীরা জানাতে পেরেছেন যে এই মারধরের কিছু ঘটনা সেলুলার ফোনে বন্দি করে রাখা রয়েছে। সেই ক্লিপ থেকে তদন্তকারীরা গোটা ঘটনার কিছুটা হদিশ পান। এরপর চলেছে আইনি প্রক্রিয়া। বিপক্ষের আইনজীবী বার্থার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দিতেন না বার্থা। সেকথা তিনি জেরাতে স্বীকারও করেছেন বলে জাবি বিপক্ষের আইনজীবীর। এছাড়াও হামলা যে বার্থাই করেছেন, তাও তিনি স্বীকার করেছেন বলে দাবি বিপক্ষের আইনজীবীর। সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বার্থার বিরুদ্ধে। কোর্ট জানিয়েছে কোনও মতেই বার্থা যেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা না করেন। যদিও কোর্টে খুনের চেষ্টার অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন বার্থা নিজে।