আজকেই একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কথা আরব সাগরে। সেই ঘূর্ণাবর্ত আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই আবহে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষার আগমনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
1/5 রবিবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ুর এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সাগরে। আরব সাগরে একটি সিস্টেমের ফলে মৌসুমী বায়ু এগিয়ে আসছে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে। এই সিস্টেমটি আগামী কয়েকদিনে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে আগামী কয়েকদিনে আবার সেই নিম্নচাপ এলাকা নাকি শক্তিশালী হয়ে ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে চলে যাবে। এদিকে সেই নিম্নচাপ অঞ্চলটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি মৌসম ভবন।
2/5 তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, এদিকে আরব সাগরের সিস্টেমটি আজ বিস্তৃত থাকবে লাক্ষাদ্বীপের ওপর দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর, পূর্বমধ্য আরব সাগর, পশ্চিম মধ্য আরব সাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগরে। এর জেরে ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে এই সিস্টেমের জেরে দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে প্রায় ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
3/5 ৬ জুন, আরব সাগরের সিস্টেমটিও আরও বিস্তৃত হবে। সেদিন সেটি লাক্ষাদ্বীপের ওপর দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর, পূর্বমধ্য আরব সাগর, পশ্চিম মধ্য আরব সাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগরে। এর জেরে ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে এই সিস্টেমের জেরে দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে প্রায় ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
4/5 ৭ জুন আরব সাগরের সিস্টেমটির শক্তি কিছুটা বাড়তে পারে। এই সিস্টেমটি যে এলাকা জুড়ে বিস্তৃত থাকবে, তার অধিকাংশ জুড়েই প্রায় ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে সেদিন। সেদিন এই সিস্টেমটি ভারতের পশ্চিম উপকূলের অনেকটা কাছেই চলে আসবে। এর প্রভাব পড়তে পারে কেরল, কোঙ্কান এবং কর্ণাটক উপকূলে। সেদিনও এই সিস্টেমের অবস্থান হবে দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর, পূর্বমধ্য আরব সাগর, পশ্চিম মধ্য আরব সাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগর।
5/5 সিস্টেমটি ৮ জুন মহারাষ্ট্রের উপকূলের কাছে চলে যাবে অনেকটাই। এর প্রভাব গুজরাট উপকূলেও প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সেদিন এই সিস্টেমের অবস্থান হবে দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর, পূর্বমধ্য আরব সাগর, পশ্চিম মধ্য আরব সাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগর। ঝোড়ো হাওয়াপ বেগ সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছুঁতে পারে। এদিকে দুই সাগরের এই দুই সিস্টেম শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে মৌসম ভবন কোনও আপডেট দেয়নি।